১৫ জুলাই দুপুরে বান্দরবান মুসাফির পার্কে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্যে ১৭ দফা পাঠ শুনান, পিসিএনপি কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মজিবর রহমান। দাবি সমুহ হচ্ছে, ১। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে একজন সেনা কর্মকর্তা/বাঙ্গালী চেয়ারম্যান নিয়ে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখে বৈষম্যহীন সমতা সৃষ্টি করা। ২। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিষয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে জসাংবিধানিক ধারাসমূহ বাতিল, সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন করে বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানের আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান সংকট সমূহ সমাধানকল্পে প্রতিপক্ষদের নিয়ে সংলাপ এর আয়োজন করা। ৩। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিতর্কিত ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন ও সংবিধান পরিপন্থী ধারা সমূহ বাতিল ও সংশোধন করা। 8। পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জেএসএস, ইউপিডিএফ (সংস্কার), কেএনএফ, মগলিবারেশন পার্টি (এমএলপি) সহ সকল সহযোগী সন্ত্রাসী জঙ্গী গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের দমনে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখা। সেই সাথে সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা, ক্ষমতা ও দুর্গম পাহাড়ী এলাকাতে প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প পুণঃস্থাপন, নতুন নতুন সেনাক্যাম্প স্থাপন করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে একটি সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করা। ৫। জরুরী ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০৩৬ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে প্রতি এক কিলোমিটার পর পর বিজিবি'র বিওপি স্থাপন করা। ৬। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চলমান ভূমি বিরোধ নিরসনে ডিজিটাল ভূমি জরীপ (সিএস) চালু ও সম্পন্ন করা এবং জরুরী ভিত্তিতে ভূমিহীনদের মাঝে ভূমি বন্দোবস্তী চালু করা। ৭। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ কর্তৃক শিক্ষাবৃত্তিতে বাঙ্গালী ও উপজাতিদের সমান অনুপাতে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা। ৮। তিন পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি চাকুরী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে উপজাতি কোটার পরিবর্তে জনসংখ্যার অনুপাতে পার্বত্য কোটা চালু করা। ৯। স্থায়ী বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে সার্কেল চীফ সনদ প্রথা (রাজার সনদ) বাতিল করে সমতল জেলা সমূহের ন্যায় ইউপি চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র অথবা বিশেষ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থায়ী বাসিন্দার সনদ প্রদান করা। ১০। বাজার ফান্ডের জায়গায় আবাসিক ও ব্যবসায়ীক ভবন নির্মাণে ব্যাংক ঋণ চালু করা। ১১। পার্বত্য জেলা সমূহে জেলা জজ আদালতে পারিবারিক আদালত চালু করে নির্যাতিত মহিলাদের সুবিচার নিশ্চিত করা। ১২। পার্বত্য জেলা সমূহে শান্তিবাহিনী কর্তৃক গণহত্যার স্থানসমূহ সরকারিভাবে সংরক্ষণ করা ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সমূহকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং নিহত ব্যক্তিদের শহীদের মর্যাদার স্বীকৃতি প্রদান করা । ১৩। ঢাকাস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স এ বাঙ্গালীদের জন্য উপজাতিদের ন্যায় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা। ১৪ | পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও বিভিন্ন আইনে বাঙ্গালীদের অ-উপজাতী আখ্যায়িত করে বাঙ্গালীদের সম্মান ও মর্যাদা হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। অবিলম্বে এই আইন সংশোধন করে বাঙ্গালীদেরকে বাঙ্গালী হিসেবে আখ্যায়িত করতে হবে। ১৫। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পার্বত্য জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যায় বাঙ্গালী ছাত্রাবাস চালু করতে হবে। ১৬। পার্বত্য জেলাসমূহে দেশী-বিদেশী পর্যকটদের আকৃষ্ট করার জন্য পর্যটন স্পটসমূহ সংরক্ষণ, শিল্পের বিকাশ ও সরকারি পৃষ্টপোষকতা এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ১৭। পার্বত্য চট্টগ্রামে বেকার যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন ফলজ-বাগান, রাবার বাগান, মৎস খামার, গবাদি পশু খামার, বনায়নসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় সরকারিভাবে পৃষ্টপোষকতা প্রদান । উল্লেখিত দাবীসমূহ সরকারকে জনস্বার্থে সদয় বিবেচনাসহ বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।