মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) থেকে ন্যাশনাল আইডি কার্ড (এনআইডি) জালিয়াতির মাধ্যমে দেদারছে জায়গা জমি রেজিষ্ট্রি চলছে মাটিরাঙ্গা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে। সেখানে একই ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে জমি বেচাকেনা করছে। ফলে রোহিঙ্গাসহ ভিন্ন দেশি নাগরিকদের পক্ষেও জায়গা কিনে মালিকানা ও নাগরিকত্ব গ্রহণের অবাধ সুযোগ তৈরির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রাম জেলার ভূজপুর থানার অধিবাসী জনৈক আঃ মান্নান সওদাগর জাল জালিয়াতির মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা বনে যান। সেখানে নিজের নাম ব্যবহার করেন আঃ মান্নান। তাছাড়া ভূজপুর থানার বড়বিল এলাকায় তার নামে ইস্যুকৃত এনআইডি নম্বর ১৫১৩৩১৩৯০৭০৭৪ পূণরায় তিনি মাটিরাঙ্গায় ব্যবহার করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভিন্ন এনআইডি কার্ড প্রস্তুত করেন। সেখানে নামটিও পাল্টে ফেলা হয়। মূল এনআইডি কার্ডে নাম ছিল আঃ মান্নান সওদাগর, কিন্তু মাটিরাঙ্গায় নাম দেয়া হয় আঃ মান্নান। নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে খোঁজ নিয়েও মাটিরাঙ্গা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দাখিলকৃত এনআইডি কার্ডটি জাল হিসেবে প্রমানিত হয়।
অথচ এই জাল এনআইডিকে পুঁজি বানিয়ে কিভাবে জমি রেজিস্ট্রি হলো সে প্রশ্নের কোনো জবাব মিলছে না। বরং অভিযোগ উঠেছে, মাটিরাঙ্গা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এ ধরনের জাল জালিয়াতির এনআইডি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে আরো অনেক জায়গা জমি রেজিস্ট্রিকরণ হয়েছে। যা ভবিষ্যতে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে বলেও আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত আঃ মান্নান সওদাগর জানান, বিষয়টি ভুল হয়ে গেছে। এটা প্রচার প্রচারণা না করার জন্য তিনি এ প্রতিবেদককে মোটা অঙ্কের টাকা পয়সা দেয়ারও প্রস্তাব করেন।
ইতিমধ্যেই জালিয়াত আঃ মান্নান সওদাগরের এনআইডি কার্ড জালিয়াতির বিষয়ে মাটিরাঙ্গা ও ভূজপুর থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ দাখিল হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রগুলো জানিয়েছে।