রাজশাহী মহানগরীর খুলিপাড়া এলাকায় গত ২২শে জুন, বৃহস্পতিবার নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৩ জন গুরুতর আহত সহ মোট ৪জন আহত হয়।খুলিপাড়া এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত আলতাব এর এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং অন্য হাতও অর্ধ-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়।৷ তার স্ত্রী নীলার কাছে মুঠোফোন মারফত জানা যায়, আলতাব এর এক হাত অপারেশন করে জোড়া লাগানো হলেও অন্য হাতের বিচ্ছিন্ন কব্জি আর জোড়া লাগবে না বলে চিকিৎসকরা জানান। অন্যদিকে দিকে আহত মুকুল এখনো মৃতপ্রায় অবস্থায় রামেক হাসপাতালে চিকিৎসারত। আহত মনা'র শারীরিক অবস্থারও উন্নতি হয় নি। উক্ত ঘটনার পরৃ
রাজশাহী মহানগরীর টিকাপাড়া (খুলিপাড়া এলাকায়) গত ২২শে জুন, বৃহস্পতিবার নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৩ জন গুরুতর আহত সহ মোট ৪জন আহত হয়।খুলিপাড়া এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত আলতাব এর এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং অন্য হাতও অর্ধ-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়।৷ তার স্ত্রী নীলার কাছে মুঠোফোন মারফত জানা যায়, আলতাব এর এক হাত অপারেশন করে জোড়া লাগানো হলেও অন্য হাতের বিচ্ছিন্ন কব্জি আর জোড়া লাগবে না বলে চিকিৎসকরা জানান। অন্যদিকে দিকে আহত মুকুল এখনো মৃতপ্রায় অবস্থায় রামেক হাসপাতালে চিকিৎসারত। আহত মনা'র শারীরিক অবস্থারও উন্নতি হয় নি। উক্ত ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজমান। এলাকায় বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ঘটনার দিন হামলার মূল হোতা আজিজ ও তার ভাই মজিদ উভয়ের স্ত্রী কে ধারালো অস্ত্র সহ আটক করলেও অন্যান্য আসামীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। উল্লেখ্য আহত আলতাব এর ছেলে সাকিব বাদী হয়ে ২৫ জন কে আসামি করে ২৩শে জুন ১টি মামলা রুজ্জু করে। সাকিব জানান আসামি আজিজ অজ্ঞাত নাম্বার থেকে কল দিয়ে সাক্ষিদেরকে হুমকি দিচ্ছে। এমন ঘটনার পর এলাকাবাসি ও আহতদের পরিবারের
মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের সাথে আজিজের বিশেষ সখ্যতার। আহতদের পরিবারের অভিযোগ বোয়ালিয়া থানার পুলিশ প্রয়োজনীয় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন না। আহতদের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে। আসামিদের গ্রেফতারে তারা কাঙ্ক্ষিত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না বলে তারা অভিযোগ করেছেন। আহতদের পরিবার থেকে জানা যায়, আজিজ ও তার কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতার ব্যাপারে বোয়ালিয়া থানাকে অনেকবার জানানোর পরও পূর্বে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি।
জানা গেছে প্রায় ১ মাস পূর্বে আজিজ বাহিনী উক্ত এলাকার এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে সদলবলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বোয়ালিয়া থানা সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু, প্রশাসন অস্ত্র উদ্ধার বা দোষীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে উদাসীন থাকে। আজিজ বাহিনীর নানান অপকর্মের কথা পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করা হলে তার তথ্য আজিজ পেয়ে যেত। আগাম খবর পেয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে তাবলীগ-জামায়াত এ গিয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকতো। প্রায়ই আজিজ বাহিনী ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দিলেও কখনো তার বাড়ি বা ক্লাবে পুলিশ তল্লাশি চালায় নি।
প্রশাসনের এমন উদাসীনতার জন্যই আজিজ এত মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে অনেকেই মনে করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে আজিজ বাহিনী এমন নৃসংশ ঘটনা আবারও ঘটাতে পারে। তার টার্গেট এলাকার আরও কয়েকজন। বাদি সাকিব অভিযোগ করে বলে আজিজ বাহিনী কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে শহরের আশেপাশে গা ঢাকা দিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকাবাসি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসী দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। তারা আজিজ কে তার পরিবার ও সহযোগী সহ এলাকা থেকে চিরতরে বিতাড়িত করার দাবি জানান।
প্রকাশ্য দিবালোকে এমন নৃশংস হামলায় এলাকাবাসি আতঙ্কিত। অনুসন্ধান হতে জানা যায়, আজিজ বাহিনী এলাকায় একটি ক্লাব ঘর তৈরি করে সেখানে অবৈধভাবে সরকারি বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যবহার করতো ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে আড্ডা দিত। উল্লেখ্য যে, আজিজ, মজিদ ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মজিদ ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বর্তমানে সে উচ্চ আদালত থেকে জামিন রয়েছে। পুরো এলাকাবাসী দাবি করেন তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার। আজিজ বাহিনী গ্রেফতার না হলে এমন ঘটনা আবারও ঘটাতে পারে বলে অনেকেরই আশংকা।
জ/ন