লামায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষের জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মান চলছে। পুলিশ গিয়েও থামাতে পারছেন না কোর্ট ভাইলেশনকারীদের আগ্রাসন(!) ঘটনাটি উপজেলার সরই ইউনিয়েন কুতুবদিয়াপাড়া, ৮নং ওয়ার্ডে ঘটে চলছে। জানাযায়, স্থানীয় আনোয়ারা বেগম হেডম্যান রিপোর্ট মূলে ২ একর ৩য় শ্রেণির জমিতে বিগত ২০ বছর ধরে বসত ঘর নির্মান ও বাগবাগিচা করে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি তার স্বামীর সত ভাইগুলো এই খাস ভূমিটি পৈত্রিক সম্পত্তির অংশ দাবি করে আনোয়ারা বেগমের ভোগ দখলীয় জায়গা জবর দখলের পায়তারা করে আসছে। তারা আনোয়ারা বেগমের সৃজিত বাঁশ গাছ জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়। জোর প্রয়োগ করতে কয়েক দফা আনোয়ারা বেগম তার স্বামী সোনা মিয়া ও সন্তানদের উপর মরণঘাতী হামলাও করেছে। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সুবিচার না পেয়ে আনোয়ারা বেগম কোর্টের আশ্রয় নেন। লামা নির্বাহী কোর্ট ভূমি সার্ভেয়ারদ্বারা সরেজমিন তদন্ত করিয়ে আনোয়ারা বেগমের অনুকুলে ১৪৪ ধারা জারী করে জবর দখলকারীদেরকে বিরোধীয় ভূমিতে প্রবেশ বারণ করেন। কিন্তু আনোয়ারা বেগমের স্বামী সোনা মিয়ার সত ভাইয়গন, নুর হোসেন, নুর মোহাম্মদ, ভগ্নিপতি নাজিম উদ্দিন, ভাগিনা নুর কবির তাদের স্ত্রীদেরসহ প্রতিনিয়ত আনোয়ারা বেগমের পরিবারে উপর অত্যাচার, জমি দখলের পায়তারা করছে। এরা কোনো বাধা বারণ আইন কানুন কিছুই মানছেন না বলে সেখানকার প্রবীন বাসিন্দা বীর কুমার তঞ্চঙ্গা ও সাবেক মেম্বার আব্দুল হালিমসহ অনেকেই জানিয়েছেন। সর্বশেষ ২রা জুন শুক্রুবার সকাল থেকে জবর দখলকারীরা রোহিঙ্গা ক'জন সন্ত্রাস দাঁড় করিয়ে রেখে তর্কিত ভূমিতে জোর পূর্বক ঘর নির্মান করছে বলে জানান, প্রতক্ষদর্শীরা। এদিকে কোর্ট ভাইলেশনের বিষয়ে আনোয়ার বেগম সরইস্থ ক্যায়াজুপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের আশ্রয় নেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে জোর প্রয়োগকারীদের লোক দেখানো বাঁধা দেয় পুলিশ। কিন্ত তারা পুলিশের বাঁধাও তোয়াক্কা করছে না, জোরপূর্বক কাঠ বাঁশ দিয়ে ঘর নির্মানের কাজ করে চলছে বলে জানাযায়। এব্যপারে ক্যায়াজুপাড়া ক্যাম্প ইনচার্জ আবদুল মোতালেব জানান "আমরা সরেজমিনে গিয়ে জোরপূর্বক ঘর নির্মানে বাঁধা দিয়ে এসেছি, আবারো পুলিশ পাঠিয়ে বাঁধা দিব"। স্থানীয় একজন জানান, "আদালতের আদেশ অমান্যের দায়ে ও আইন শৃঙ্খলা অবনতির কারণ সৃষ্টি করতে চায়লে যে কোনো কাউকে পুলিশ আটক করে আইনের দরজায় পৌঁছাতে পারে। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের শিতিল ভূমিকা লক্ষণীয়"। এ দিকে বিষয়টি লামা থানা অফিসর ইনচার্জ অবগত হয়েছেন এবং ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান। ভিকটিমরা জানায়, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারের ইন্ধনে এ সব হচ্ছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানে জবর দখলকারীরা যেনতেন করে আরো একটি ঘর নির্মান করতেছে। এ নিয়ে শুক্রুবার সকাল থেকে আনোয়ারা বেগমের ভোগদখলীয় ভূমি দুইটি ঘর নির্মাণ করেছে বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ব্যপারে জানতে সরই ইউপি চেয়ারম্যানকে কয়েক দফা ফোন করা হয়, কিন্ত ফোন কল রিসিভ করেননি তিনি। জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য বাবুল মেম্বারের নিকট জানতে চাইলে সে কিছু জানে না বলে জানায়।