১২তম জাতীয় সংসদ সদস্য পদে বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিকে দলীয়ভাবে আবারো ঘোষনা করলেন বান্দরবান আওয়ামিলীগ। ২৬ মে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় দলীয় সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক এই ঘোষণা দেন নেতা কর্মিরা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে যখন নৌকা প্রতীক পাওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। ঠিক সেই মুহুর্তে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠন বান্দরবানে তাদের প্রিয় বীরকে আবারো নৌকা প্রতীক পাওয়ার পক্ষে এক বাক্যে সমর্থন দিয়েছেন। ১৯৯১ সাল থেকে বান্দরবান সংসদীয় আসনে নৌকা প্রতীক পেয়ে আসছেন বীর বাহাদুর উশৈসিং। ১৯৯৯৬ সালে তিনি ২য় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর দল সরকার গঠন করেন এবং তিঁনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে ৩য় বারও তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে শত প্রতিকুলতার মাঝেও নির্বাচিত হন। সেইবার সরকার গঠন করেছিল বিএনপি জামায়াত। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার জয় নিশ্চিত করেন বান্দরবানে। সরকার গঠন করেন তাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। তিঁনি উপ-মন্ত্রীর মর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পান। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিঁনি এমপি হন। ওই মেয়াদে জাতিরজনক কন্যার আস্থাভাজন বীর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো এমপি নির্বাচিত হন। এর পর তিঁনি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পুর্ন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর দূরদর্শী উন্নয়ন চিন্তা, অহিংস নেতৃত্ব পর্বতের প্রতিটি আঙ্গিণায় কল্পনাতীত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিক্ষা বিস্তারে তিঁনি পাড়া কেন্দ্র থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি স্থাপন করেছেন এই জনপদে। যোগাযোগ সেক্টরে কালভার্ট থেকে শুরু করে বড় বড় গার্ডার সেতু নির্মান, ১২ ফুট প্রশস্ত ইটের সড়ক থেকে শুরু করে ৩০ ফুট প্রশস্ত কার্পেটিং সড়ক নির্মানের মাধ্যমে শহর থেকে গ্রাম পাড়া মহল্লায় সড়ক সংযোজন হয়। তাঁর সংসদীয় আসন বান্দরবানের ৭টি উপজেলা, ২টি পৌরসভায় বিস্তর উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সর্ব সেক্টরে ব্যপক উন্নয়নের ফলে সকল জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অগ্রতি তরান্বিত হয়েছে। জনগোষ্ঠীর প্রতি সাম্য আচরণের ফলে এতদাঞ্চলের মানুষ দলমত ধর্ম বর্ণ ভুলে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে বীর বাহাদুরকে ভোট দিয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে থাকে। তার পরও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। প্রত্যাশার চেয়ে সাধারণ মানুষের কাছে প্রাপ্তি অনেক বেশি; এ কথা যেমন সত্য তেমনি পাওয়া না পাওয়ার হতাশাও ভোগছেন অনেকে। সুতরাং সমীকরণ কিভাবে মিলাবেন, সেটা এখনই ভাবতে হবে সবাইকে।