আলীকদম থানার পুলিশ গরু চোর দলের ৬জনকে আটক করেছে। ৩১ মে আলীকদম থানার এসআই নিঃ মোঃ রেজোয়ানুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাতে অভিযান পরিচালনা করে ৪টি গরু ও ৬জন আসামি আটক করেন।ওই সময় চোরদের কাছ থেক নগদ ৮৯০০০ টাকা উদ্ধার করেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন। আলীকদম থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, ২৯ মে রাত সাড়ে নটায় আলীকদম থানাধীন ০২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ড ফুটের ঝিড়ি পাড়ার বাসিন্দা কৃষক খাইরুল বশর ও প্রতিবেশি ইউনুসের খামার বাড়ি থেকে ৪টি গরু চুরি হয়। গরুর মালিকদ্বয় এ ব্যপারে ৩০ মে আলীকদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সাথে সাথে পুলিশ অভিযানে নামেন। বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারেন, চুরি যাওয়া গরুগুলো লামা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড রাজবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রাসেল নামের (মেট্টো বাংলা টিভি, দৈনিক একাত্তর সংবাদের লামা প্রতিনিধি পরিচয়দানকারী) একজন ১ লাখ দশ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। পুলিশ ৩০ মে সন্ধায় রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদে বাকি ৫ চোরের হদিস বের করে তাদেরকে আটক করেন। পুলিশ কর্তৃক ধৃত এই চক্রের অন্যান্য সদস্য হলো, মোঃ বাদশা ২৯ পিতা মোঃ নুরুল হোসাইন সাং ফুটের ঝিড়ি ০৪নং ওয়ার্ড, চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন আলীকদম, মোঃ অমিত হাসান, পিতা মোঃ শহিদুল্লাহ, রেফার পাড়া বাজার ০৪ ওয়ার্ড,আলীকদম, মোঃ আব্দুল শফি,পিতা ছাহেল আহমদ সাং ফুটের ঝিড়ি ০৪ ওয়ার্ড চৈক্ষ্যং ইউপি আলীকদম, মো: মিজান, পিতা বাদশা মিয়া, সাং ফুটের ঝিড়ি চৈক্ষ্যং আলীকদম ও মোঃ নুরুল ইসলাম প্রকাশ আতিক, পিতা মোহাম্মদ সোওয়াব সাং চেয়ারম্যান পাড়া ৪ নং ওয়ার্ড লামা পৌরসভা। জানাগেছে বিগত কয়েকমাস ধরে আলীকদমের বিভিন্ন গ্রামের প্রান্তিক কৃষকের গোয়াল থেকে প্রায়শই হালের বলদ চুরির ঘটনায় স্থানীয়দের নির্ঘুম রাত কাটছে। গরু চোর চক্রটি মায়ানমারের গরু বলে চুরি করা দেশীয় গরুগুলোও দিব্যি নিয়ে যাচ্ছে অন্য জেলায়। আলীকদম উপজেলায় বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে গরুচোর থেকে সাবধান হওয়ার জন্য মসজিদের মাইকে সার্বক্ষনিক সতর্ক করা হচ্ছে। বিগত বছর খানেক ধরে মায়ানমার সীমান্তবর্তী আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন পাহাড়ি পথে বিদেশি গরুর চোরাচালান ছিল অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন। সাম্প্রতিক মাস দুয়েক ধরে এই প্রবণতা অনেকটা নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রয়েছে। সর্ব মহলের দৃষ্টি যখন বিদেশি গরুর দিকে, তখনই সেই স্রোতে মিশে যায় প্রান্তিক কৃষকের গোয়ালের গরুগুলো। পুলিশ কর্তৃক আটককৃত সর্ব শেষ এই চারটি গরু প্রমান করে, এর আগে কত কৃষকের কপাল পুড়েছে এই গরু চোর চক্রটির উৎপাতে। বিষয়টি স্থানীয় কৃষক ও খামারিদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। নোটঃ আসামিদের বিরুদ্ধে আলীকদম থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।