• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন

মার্কিন ভিসা নীতি দেশের জনগণের দাবির প্রতিফলন : মির্জা ফখরুল

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ‘বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিরই প্রতিধ্বনি’ উল্লেখ করে সরকার পদত্যাগের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ দাবি জানিয়ে বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করার সব প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য এবং একই সঙ্গে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার স্বাধীনতা ও অধিকার চর্চাকে সহিংসভাবে দমনের যে কোনো নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে অবস্থান নিয়েছে, তা বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিরই সুস্পষ্ট প্রতিধ্বনি।

বিএনপি মনে করে, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিএনপিসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণ দীর্ঘদিন ধরে যে দাবি জানিয়ে আসছিল, পরিবর্তিত মার্কিন এ ভিসা নীতিতে তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে।

সরকারের প্রতি আহ্বান রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আবারও দাবি করছি, এই অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদী সরকার দেশে-বিদেশে তার প্রত্যাখ্যাত অবস্থাকে অনুধাবন করে অবিলম্বে পদত্যাগ করবে এবং ভোটারবিহীন জাতীয় সংসদ বাতিল ঘোষণা করবে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সব মহলের দাবি ও প্রত্যাশা। চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক তথা জাতীয় সংকট থেকে মুক্তিলাভের এটাই একমাত্র পথ।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৩ মে থেকে স্কয়ার হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপি মহাসচিবের পক্ষে দলের সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর স্বাক্ষরে এ বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে কোনোভাবেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। কেবল একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই তা সম্ভব। আর সে কারণেই বিএনপি দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ও শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার আদায়ের লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে চলছে। আমরা অত্যন্ত গভীরভাবে লক্ষ করছি যে, মার্কিন ভিসা নীতিতে শুধু পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই আওতাভুক্ত করা হয়নি, সুনির্দিষ্টভাবে বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সরকারি জনবল, সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ যে বা যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে চেষ্টা করবে, তাদের এবং তাদের পরিবারবর্গকে আওতাভুক্ত করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page