মো:ফয়সাল হোসেন, রাজশাহী
২১ জুন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইএম খায়রুজ্জামান লিটন। গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পূর্বে নির্বাচন অফিসের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
মনোনয়নপত্র জমাদিয়ে মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হিসেবে আজকে মনোনয়নপত্র দাখিল করলাম। আমি জানি নগরবাসীর আরো কিছু আশা-আকাঙ্খা অপূর্ণ আছে। সুযোগ পেলে আগামী ৫ বছরে সেগুলো পূরণ করতে চাই। রাজশাহীতে শিল্পায়নের অবস্থা ভালো না ও তেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। সেখানে কীভাবে শিল্পায়ন করা যায়, কর্মসংস্থান বাড়ানো হয়, সেক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকবো। আমার নির্বাচনী ইশতেহারে ১ নম্বরে থাকবে কর্মসংস্থানের বিষয়টি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা নিয়ে আমি রাজশাহীকে কর্মমুখর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য প্রফেসর আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বেগম আখতার জাহান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নাইমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু ও মোস্তাক হোসেন, প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, রাজশাহী এ্যাডভোকেট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।
২১ জুন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করার জন্য গত রবিবার (২১ মে) অপরাহ্নে পদত্যাগ করেন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রথমবার মেয়র ছিলেন খায়রুজ্জামান লিটন। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই রাসিক নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়ে প্রায় শতকোটি টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২১ মে রাসিকের রাজস্ব খাতের তহবিলে প্রায় ৪০ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রেখে পদত্যাগ করেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শেষ কর্মদিবস শেষে রাত ৯টায় নগর ভবনে থেকে বেরিয়ে যান তিনি।