• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

কর্নেল নাজমুল হুদা হত্যা মামলার প্রতিবেদন ১২ জুন

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীরবিক্রমকে হত্যার অভিযোগে প্রায় ৪৮ বছর পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতের শেরেবাংলা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (১০ মে) শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলাটি করেন নিহতের মেয়ে ও সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খান। মামলায় ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর (অব.) আব্দুল জলিলকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ভোর ৪টা থেক সকাল ৮টার মধ্যে কোন এক সময়ে মেজর জলিলের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদাকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধে ৮ নম্বর সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ, কর্নেল এটিএম হায়দার ও কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এটিএম হায়দারসহ খেতাবপ্রাপ্ত চার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরির সময় ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা অভিযুক্ত হিসেবে আরও অনেকের সঙ্গে আটক হন খন্দকার নাজমুল হুদা। ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বেকসুর খালাস পান তিনি। কিন্তু সেনাবাহিনী থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি যুদ্ধে অংশ নেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য খন্দকার নাজমুল হুদাকে বীর বিক্রম খেতাব দেয় বাংলাদেশ সরকার। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২২ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে তাকে ভূষিত করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ