মিসরের গিজার পিরামিডে একটি গোপন করিডোরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ আবিষ্কার আরও নতুন নতুন আবিষ্কারের দ্বার উন্মোচন করতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।
দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণার পর এই করিডোরটি আবিষ্কৃত হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে গবেষকরা পিরামিডের ভেতরে না গিয়ে বাইরে থেকে ইনফ্রারেড থার্মোগ্রাফি, থ্রি ডি সিমুলেশন এবং কসমিক রে ইমেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে ভেতরে তথ্য জানার চেষ্টা করছেন।
সাড়ে ৪ হাজার বছর বয়সী পিরামিডের মূল প্রবেশপথের পাশেই অবস্থিত করিডোরটির দৈর্ঘ্য ৯ মিটার বা প্রায় ৩০ ফিট। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) গবেষকরা এ করিডোরটি খুঁজে পান। খবর বিবিসি
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, আবিষ্কারটি পিরামিডের নির্মাণ এবং করিডোরের সামনে থাকা চুনাপাথরের কাঠামোর উদ্দেশ্য বিষয়ে জানার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
মিশরের সুপ্রিম কাউন্সিল অফ অ্যান্টিকুইটিজের প্রধান মোস্তফা ওয়াজিরি বলেছেন, অসমাপ্ত করিডোরটি সম্ভবত পর্যটকরা পিরামিডে প্রবেশে যে দরজা ব্যবহার করেন তা থেকে সাত মিটার দূরে। এই করিডোরটি পিরামিডের ওপরের ওজনকে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়া এবং বিভিন্ন চেম্বারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল।মোস্তফা ওয়াজিরি আরও বলেন, আমরা আমাদের স্ক্যানিং চালিয়ে যাব, যাতে আমরা দেখতে পাই আমাদের সামনে কী অপেক্ষা করছে। এবং এর নীচে বা এই করিডোরের শেষ মাথায় কী রয়েছে তা আমরা খুঁজে পেতে পারি।২৫৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৎকালীন মিসরে শাসক বা ফারাও খুফুর শাসনামলে গিজার পিরামিডটি একটি স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। ১৪৬ মিটার উঁচু কাঠামোটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে এখন ১৩৯ মিটারে দাঁড়িয়েছে। ১৮৮৯ সালে প্যারিসের আইফেল টাওয়ার নির্মাণের আগ পর্যন্ত পিরামিডই মানুষের দ্বারা তৈরি করা সবচেয়ে উঁচু কাঠামো ছিল।