• বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
যাদের জন্য লিখি তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হলেও সাংবাদিকদের হয়নি ঝিনাইদহে কৃষকের মেধাবী সন্তানের সংবর্ধনা ধামইরহাটে লক্ষণপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঁচ বছরের দীর্ঘ দ্বন্দ্বের অবসান করলেন ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান আওয়ামী লীগ দেশে বিশৃংখলা তৈরি করতে চায়- হাসান উদ্দিন সরকার জিয়া মঞ্চের ফয়েজ উল্যাহ ইকবালের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা আটক মতিঝিলে নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ আমতলীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উৎযাপন উদ্যোক্তা হওয়ার মজা নোয়াখালীতে চাচীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে হত্যা, ছাত্রলীগ নেতার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মেট্রোরেলে ইন্টার্নশিপের সুযোগ, মাসে ভাতা ১০ হাজার, মিলবে সনদ

পিতৃপরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক হবেন মা : হাইকোর্ট

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩

ডেস্ক : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে পিতৃপরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হতে পারবেন বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মা স্বীকৃতি পাবেন কি না- এ বিষয়ে গত ১৬ জানুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।

ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আইনুননাহার সিদ্দিকা, অ্যাডভোকেট এস এম রেজাউল করিম এবং অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

রিটের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বে শিক্ষার্থী তথ্য ফরমে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে বাবার নাম পূরণ করতে না পারার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী ঠাকুরগাঁওয়ের এক তরুণীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রবেশপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানায়। উল্লেখ্য যে, মা ও সন্তানকে কোনোরূপ স্বীকৃতি না দিয়ে বাবার চলে যাওয়ার পর ওই তরুণী তার মায়ের একার আদর স্নেহে বড় হয়েছিলেন।

পরে এ ঘটনার যথাযথ অনুসন্ধানের ওপর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এবং সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠার দাবিতে ২০০৯ সালের ২ আগস্ট তিনটি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন- বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং নারীপক্ষ যৌথভাবে জনস্বার্থে রিট দায়ের করে।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ এবং বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মানবাধিকার, সমতার পরিপন্থি ও বিশেষভাবে শিক্ষার অধিকারে প্রবেশগম্যতার বাধাস্বরূপ বিদ্যমান বৈষম্যমূলক এ বিধানকে কেন আইনের পরিপন্থি এবং অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেন।

একইসঙ্গে বর্তমানে কোন কোন শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বাবা ও মা উভয়ের নাম সম্পর্কিত তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে হয় তার একটি তালিকা এবং যেসব যোগ্য শিক্ষার্থী তাদের বাবার পরিচয় উল্লেখ করতে অপারগ তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সে সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরে ২০২১ সালের ৬ জুন ব্লাস্ট আবেদনকারীদের পক্ষে একটি সম্পূরক হলফনামা আদালতে দাখিল করে। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় ঘোষণার জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ