মহাসড়ক এখন এক আতঙ্কের নাম। যানবাহনে ডাকাতি এখন প্রায় প্রতিদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি মহাসড়কে বেশকিছু ডাকাতির ঘটনার জেরে সারাদেশের মহাসড়কে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি মহাসড়কে ডাকাতির বিষয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় গুরুত্বের সঙ্গে তথ্যবহুল বেশকিছু সংবাদ প্রকাশিত হয়। মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধ হওয়া জনগণের গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। র্যাবের জনবল কম, এরপরেও র্যাব সারাদেশের মহাসড়কে টহল জোরদার করেছে। পাশাপশি র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখাও কাজ করে চলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, আগে যারা ডাকাতি করে গ্রেপ্তার হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা রয়েছে, তারা এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, কোন পেশায় রয়েছে তাদের বিষয়েও একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করছে। এছাড়া ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে ডাকাতি রোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান। আমরা ভুক্তভোগীদেরও অনুরোধ করব ডাকাতির খবর পেলে তারাও যেন আমাদেরকে তথ্য দেন।
এসময় এই সমস্যা সমাধানের জন্য সমাজের সব স্তরের মানুষের সহযোগিতা চান তিনি। ডাকাতি সমস্যার সমাধানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ডাকাতি রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। ডাকাতদের যদি পুনর্বাসন করা যায় তাহলে ডাকাতি কমে যাবে। এরইমধ্যে কক্সবাজার ও সুন্দরবনসহ সারাদেশে ৪০৫ জন ডাকাত র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।