এবি সিদ্দীক ভূইঁয়া:সিএনজি পাম্পের জেনারেটর অপারেটর থেকে কোটিপতি! তার অর্থনৈতিক সহযোগিতায়
আওয়ামী লীগ এখনো সক্রিয় থেকে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে অভিযোগ রয়েছে অবৈধভাবে সিএনজি গ্যাস ব্যবসা পরিচালনা কারি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ছাত্র জনতার মহান উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এখনো সক্রিয় রয়েছেন।সিএনজি পাম্পের জেনারেটর অপারেটর থেকে কোটিপতি! সাইফুল ইসলামের সহযোগিতায় সক্রিয় রয়েছেন আওয়ামী লীগ এমন অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা পাওয়া এই সাইফুল ইসলাম শতকোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। বার বার দুদকের মুখা -মুখি করা হলেও আওয়ামী লীগের প্রিয় ব্যক্তি হওয়ার সুবাদে অদৃশ্য ইশারায় পার পেয়ে যায় বার বার। নিজের অবৈধ সম্পদ রক্ষা ও অন্য কোন সরকার ক্ষমতায় আসলে দুদকের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে। ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,শ্রমিক লীগকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমুর ছত্রছায়ায় তিতাসের কর্মকর্তাদের ম্যনেজ করে অবৈধভাবে অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হয়ে যায়। নিজ এলাকায় এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। লোকোমুখে বলা বলি করে জাদুর কাঠি হাতে পাওয়া সাইফুলের বাবা ছিলেন দিনমজুর। বিভাগীয় তদন্ত ও দুদক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তার দূর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যেত। এদিকে শতকোটি টাকার সম্পদের পাহাড়। প্রায় শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হয়েছেন। সাইফুল ইসলাম সিএনজি সাপ্লাইয়ার, প্রতিষ্ঠানের নাম—ন্যাচারাল সোর্স এনার্জি লিমিটেড, বাড়ী নং— ৫এ, ৩য় তলা (এ্যাপার্টমেন্ট—৪সি), রোড নং—৯৪, গুলশান—২, ঢাকা—১২১২। ২য় অফিসের ঠিকানা: গাজীরটেক নবপাড়া, মডেল বাড়ীর মোড়, ট্রাক ষ্ট্যান্ড, গাজীপুর। স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম— তিমিরকাঠী, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপরীত দিকে, থানা—নলছিটি, জেলা— ঝালকাঠী। অবৈধ গ্যাস বিক্রিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা পরিচয় দিতেন। দুদকেও রয়েছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ। তাহার সম্পদের ছোট্ট বিবরণ,গাজীপুর সমা সিএনজি পাম্পের জেনারেটর অপারেটর থেকে কোটিপতি। তখন বেতন ছিল মাত্র ১৫,০০০/— (পনের হাজার) টাকা। তিতাসে অসাধু কর্মকর্তা, সিএনজি গ্যাস মালিকদের যোগসাজসে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এন এস এনার্জি লিমিটেড, এন এস মটরস ও সায়মা ইঞ্জিনিয়ারিং নামে তিনটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, গাজীপুরে তিনটি বাড়ী, সাভারে ১০ কাঠা জমি ক্রয়, বসুন্ধরায় ৮ কাঠা জমি ক্রয় সহ নামে—বেনামে সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সে সরকারকে সঠিক ভ্যাট—ট্যাক্স না দিয়ে, অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতা—কর্মীদের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যান। তার নিজস্ব প্রায় ১০০টি ট্রাক রয়েছে এবং ভাড়ায় পরিচালনা করেন আরো প্রায় ৫০টি, যার আয় ব্যয়ের কোন সঠিক হিসাব নিকাশ নেই। সম্প্রতি ছাত্র—জনতার আন্দোলনকে নচেৎ করার জন্য আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন। তিনি ছাত্র জনতার উপর হামলা মামলায় নানাভাবে জড়িত ছিল। ছাত্র—জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং সরকারি ভ্যাট—ট্যাক্স না দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা এবং সরকারি নিয়ম—নীতি তোয়াক্কা না করে আওয়ামী লীগের নেতা—কর্মীদের অর্থ দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে করেছে। ছাত্র—জনতার আন্দোলন যাতে সফল হতে না পারে সেজন্য অর্থ দিয়ে জামায়াত—শিবির—বিএনপির মদদদে আন্দোলন চলছে বলে লিফলেট বিতরণ ও আন্দোলন বাঞ্চালের জন্য অর্থ যোগান দাতা হিসাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। যখনই সুযোগ পান তখনই অবৈধ পথে টাকা ইনকাম করেন। বর্তমানেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। দুদকের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মিশন তার। দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, মিথ্যা তথ্য দিয়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার এতো অপকর্ম রুখবে কে? তিনি আওয়ামী লীগের প্রিয় ব্যক্তি, আওয়ামী লীগের নেতা—কর্মীদের অর্থ সহযোগিতা দিয়ে, সরকারকে ভ্যাট—ট্যাক্স না দিয়ে অবৈধ শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার সকল সম্পদের ভ্যাট—ট্যাক্স দেওয়ার ভয়ে ছাত্র—জনতার আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তার মূল উদ্দেশ্যই হলো ছাত্র জনতার মহান উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
কামাল হোসেন বলেন, সাইফুল ইসলাম ছিলেন একজন সিএনজি পাম্পের কর্মচারী কি করে এত নামে—বেনামের সম্পদের মালিক হলেন। অবৈধভাবে সম্পত্তি অর্জন করেও সরকারি রাজস্ব দিচ্ছে না। ছাত্র জনতার সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে তার মুখে শোনা যায় ।
তার এলাকার এক ব্যক্তি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটা সত্য। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে যে সহযোগিতা করেছেন সেটা সত্য।তিনি এখনো বিশ্বাস করেন শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছরিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এদের মূল উদ্দেশ্যই হলো ছাত্র জনতার মহান উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন আমি অভিযোগ পত্র এখনো পাইনি। হাতে পেলে তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।