মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউর রহমান কম্পননকে মঙ্গলবার, (৫ নভেম্বর) রংপুর জেলার পীরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
বুধবার, (৬ নভেম্বর) মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এসএম আমানুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি অফিস পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
তিনি আরো জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাদের পাইপ বেয়ে পালিয়ে নামার সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এতে করে তিনি আহত হলে রংপুর জেলা হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে তাকে মানিকগঞ্জে আনা হবে হবে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল পৌর শাখার আহ্বায়ক ও মানিকগঞ্জ জজকোর্টের আইনজীবী, মো. মুরাদ হোসেন গত ২৫ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ সদর থানায় ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল ও কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা ও আমিরুল ইসলাম মট্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক তুষার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, সদস্য-সচিব মাহাবুবুর রহমান জনি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কৌরাইশী সুমন, সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্রাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফছার উদ্দিন সরকার, মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক হাসেম আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী রানা, কাজী রাজু আহমেদ বুলবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক খান খালিদ, এনামুল হক রুবেলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরোও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে পুলিশ হেফাজতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাঁকে মানিকগঞ্জে নিয়ে এসে আদালতে সোপর্দ করা হবে।