বহু মামলার আসামী কুতুবউদ্দিন মেম্বারের
লাগাম টেনে ধরার কেউ নেই
News Episodes-৫
পার্বত্য লামা (বান্দরবান) উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সন্ত্রাসী মেম্বার কুতুব উদ্দিনের লাগাম টেনে ধরার কেউ নেই(!)। তার সাথে আসলে কোনো ভালো রাজনৈতিক নেতার সম্পর্ক রয়েছে; তেমন নজিরও নেই। এত সব বে আইনি কাজে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকার পরও কিভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে(!)। আজকের পর্বে তার লাগামহীনতার পেছনের কারণ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট রয়েছে। গত ২২ জুন/২৩ রাতে লামা থেকে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় মিরিঞ্জা রুয়াজা মুরুং পাড়ার রাস্তা থেকে গরু ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন মানিকসহ ৩ জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেছিল কুতুব উদ্দিন মেম্বারের সন্ত্রাস বাহিনী। কুতুবউদ্দিনের নেতৃত্বে তার পেতি সন্ত্রাস বাহিনী তিনজন ব্যবসায়ীকেসহ ৭টি গরু আটক করে তার আস্তানায় নিয়ে যায়। সেখানে গভীর রাতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গরু ব্যবসায়ী মানিক ও তার লোকজনকে কুতুব মেম্বারের টর্চার সেল হিসেবে খ্যাত একটি কক্ষে জিম্মি করে রাখে। ওই সময় কুতুব মেম্বার অস্ত্র ঠেকিয়ে মানিক ও তার সঙ্গের লোকজন থেকে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। জিম্মিরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশের পর, মানিকের ৭টি গরু রেখে দেয় এবং মারধর করতে উদ্যত হয় এবং কুতুব মেম্বার জিম্মিদের অস্ত্র উঁচিয়ে বারবার তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। এরপর ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে কুতুব মেম্বারের কবল থেকে নিস্তার পান ব্যবসায়িরা। ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন মানিকের বাড়ি আলীকদম উপজেলার বাজার পাড়া গ্রামে। তিনি মরহুম ডা. আব্দুস ছোবহানের ছেলে। সে জানায় ‘ওই সময় আমার সঙ্গে থাকা অন্যদেরকে নির্যাতন এবং প্রাণ রক্ষার্থে আমি টাকা দিতে বাধ্য হই।’ ওই ঘটনা অনুসন্ধানকালে স্থানীয়রা জানিয়েছিল, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের পাহাড়ি জনপদ সাপেরঘারা, ত্রিশঢেবা, ১৪নং এলাকাকে নরককুণ্ড বানিয়ে রেখেছে অস্ত্রধারী কুতুব মেম্বার। ওই ইউনিয়নে অস্ত্রবাজ এই মেম্বারের সশস্ত্র সন্ত্রাসের কাছে ছোটখাটো ব্যবসায়ীসহ সকলেই জিম্মি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামীলীগ সমর্থিত এক নেতা জানায় 'কুতুব মেম্বার রাজনীতির ছত্রছায়ায় এ ধরণের অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। তার বিরুদ্ধে থানা আদালতে বহু মামলা রয়েছে'। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা কুতু্বউদ্দিনের কাছে জিম্মি হয়ে আছে বলে অনুসন্ধানে জানাযায়। পরের পর্বে থাকছে, রাজনীতির ছত্রছায়ার প্রধান ঢাল ভেঙ্গে যাওয়ার নতুন ঢালে ভর নতুন কৌশল হিসাবে ভার্চুয়াল প্রচেষ্টা করছে কুতুবউদ্দিন মেম্বার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।