উপজেলা নির্বাচনে নিয়ে ফেসবুক লাইকের মধ্যেই কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে প্রার্থীর ওপর হামলা ।
নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে ফেসবুকে সরাসরি লাইভ করছিলেন কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলম। চলন্ত গাড়ি থামিয়ে সেই মুহূর্তেই হামলা করা হলো তার ওপর।
এর আগে হামলা করা হয় তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্টের উপর।
এই ঘটনার প্রতিবাদে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ করে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন
শামসুল আলমের সমর্থকরা।
ভোটগ্রহণের পর বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে যান মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শামসুল আলম।
এক পর্যায়ে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। মাত্র এক মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওর শেষ পর্যায়ে তার ওপর হামলার পর পর লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়।
লাইফে এসে শামসুল অভিযোগ করেন, নির্বাচনে বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে প্রতিদ্বন্দ্বী আবু তালেব গাড়িবহন নিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে যাচ্ছেন।
ইউএনও সাহেব আমাকে বলেছিলেন প্রার্থীর সঙ্গে একটি গাড়ি থাকবে। অথচ আবু তালেব ২০ টি গাড়ি নিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরছেন।
ঈদগাহ থেকে পোকখালী যাওয়ার পথে আমাদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ইয়াসিন হাবিবের ওপর হামলা করেছে।
এই বিচারের ভার আপনাদের দিলাম। সুষ্ঠু ভোটে হেরে যাওয়ার ভয় তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে বাহিনী এনে নিজেরা ভোট দিচ্ছেন।
ফেসবুকে এই লাইভ চলাকালেই দেখা যায় হামলার দৃশ্য। দেখা যায় গালাগালি দিয়ে এক ব্যক্তি চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলমের শার্টের কলার চেপে ধরেছেন। তারপর হৈচৈ এবং হট্টগোলের মধ্যেই লাইভটি কেটে যায়।
এর আগে প্রভাবশালীরা নানা ভাবে ভোটের পরিবেশ বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। ভোটারদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে - এমন অভিযোগ এনে গত১৭ মে বিকালে কক্সবাজারের কলাতলীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন মোটর সাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলম।
এদিকে কক্সবাজার ঈদগাহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনিয়ম ও কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের দেওয়ার অভিযোগে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একঘণ্টা অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা।
এদিকে কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনিয়ম ও কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের দেওয়ার প্রতিবাদে ঈদগাহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের সেলিম আকবর এবং তার সমর্থকরা এই অভিযোগে মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত একঘণ্টা গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
এসময় ইট পাটকেলের আঘাতে র্যাবের এক সদস্য মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যারিকেট তুলে দিলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার প্রথম নির্বাচন এটি। যেখানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন। এরা হলেন, আবু তালেব (টেলিফোন), সামসুল আলম (মটর সাইকেল), কুতুবউদ্দিন চৌধুরী (দোয়াতকলম), নুরুল কবির (ঘোড়া) ও সেলিম আকবর (আনারস)।