বিশেষ প্রতিনিধিঃ
প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ধারাবাহিক ভাবে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর আরো বেপরোয়া ভাবে নকল এসি বাজারজাত করে আসছেন আবুল হোসেন।
দেশের একশ্রেণীর ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানি কারকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী কতিপয় অসাধু কাস্টমস ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারের শতকোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চায়না থেকে নিম্নমানের এয়ারকন্ডিশন (এসি) সম্পূর্ণ অলিখিত কোম্পানির নাম ও স্টিকার ছাড়া ইলেকট্রনিক্স পণ্য দীর্ঘ বছর থেকে আমদানি করে আসছে এই অসাধু ব্যবসায়ী চক্রটি।চায়না থেকে আমদানিকৃত নিম্নমানের অলিখিত সাদা কোম্পানির নামবিহীন এয়ারকন্ডিশন গুলোকে জাপান কোরিয়া থাইল্যান্ড এর স্বনামধন্য কোম্পানিগুলোর স্টিকার লগো স্ক্যানিং করে এবং টন বৃদ্ধি করে প্রতিনিয়ত বাজারজাত করে নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধি করে আসছে,অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থসিদ্ধির কারণে প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তা।
এই সকল নিম্নমানের নকল এয়ারকন্ডিশন পণ্য ব্যবহারের ফলে প্রতিনিয়ত বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের আগুন লেগে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে চলেছে সারা দেশে যাহা দেখার কেউ নেই।এই সংঘবদ্ধ চক্রটি কথায় কথায় অহংকারের সাথে বলে দেশ এবং দেশের মানুষ নিয়ে ভাবনার সময় আমাদের নেই কারণ টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে।এই সকল নকল এয়ারকন্ডিশন বাজারজাতকারী আবুল হোসেন এর ১২/ডি এবিএম ইলেকট্রনিক্স শোরুমের আড়ালে চলে চায়না থেকে আমদানি করা সাদা এয়ারকন্ডিশনের গায়ে বিভিন্ন ধরনের নামী দামী ব্রান্ডের স্টিকার লাগিয়ে সরবরাহের কাজ।অনুসন্ধানে জানা যায় এই সকল নকল এয়ারকন্ডিশন আমদানি কারক ও বাজারজাতকারী অধিকাংশ ব্যবসায়ী জামায়াত-বিএনপি নেতা।এমনকি এদের বিরুদ্ধে অগ্নি-সংযোগ গাড়ি ভাঙচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপরে হামলা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস-সহ রাজধানী ঢাকার পল্টন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এমনকি ২০২৩ সালে বিএনপি জামাতের সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপরে হামলা সহ নানান অপরাধের মূল হোতা আবুল হোসেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের কার্ড ব্যবহার করে এই সকল দেশ বিরোধী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন থেকে করে আসছেন।২০২৩ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় নয়াপল্টন বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের বিপরীতে গাজী ভবন ও এর আশপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ গুলো দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে আবুল হোসেন গংদের ওই সময়ের কর্মকাণ্ড কি?সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ সহ ওই সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পিছন থেকে সকল বিষয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন আবুল হোসেনেরই সম্পাদক।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায় জামায়াত-বিএনপির এই সংঘবদ্ধ চক্রটি পরিকল্পনা মাফিক সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারদের ম্যানেজ করে এই সকল নকল এয়ারকন্ডিশন সরবরাহ করে আসছে এর মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতাল (পিজি হাসপাতাল)এবং নকল এয়ারকন্ডিশন বাণিজ্যের লভ্যাংশের সিংহভাগ টাকা ব্যয় করছেন সরকার বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে।এই সকল নকল এয়ারকন্ডিশনের কারণে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সারাদেশে বহু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে চলছে।এই সঙ্গবদ্ধ চক্রের অন্যতম মোঃ আবুল হোসেন দীর্ঘদিন আবু বক্কর এর এয়ারকন্ডিশন দোকানে সেলসম্যান হিসাবে চাকরি করার সুবাদে সারা বাংলাদেশের নকল এয়ারকন্ডিশন ক্রেতা বিক্রেতা গংদের সাথে পরিচয় ঘটে।এই পরিচিতিকে পুঁজি করে সূচতুর আবুল হোসেন চাকরি ছেড়ে দিয়ে বায়তুল মোকারম মসজিদ মার্কেটে অফিস নিয়ে সারা বাংলাদেশে নকল এয়ারকন্ডিশন সরবরাহ করে আসছে।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় সুচতুর আবুল হোসেন নিজের নকল এয়ারকন্ডিশন ব্যবসা বাজারজাত করার জন্য একটি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ নামক পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের পরিচয় দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় সুচতুর আবুল হোসেনের নকল বাজি ছাড়া স্কুল-কলেজের কোন শিক্ষা সনদ নেই তারপরেও তিনি কিভাবে একটি দৈনিক পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের পদবী ব্যবহার করছেন তাহা বোধগম্য নয়।রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিকতা সেখানে সূচতুর আবুল হোসেন এর মতো একজন নকলবাজ স্বশিক্ষিত ব্যক্তি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের পদ পদবী ব্যবহার করছেন যাহা সাংবাদিকতা পেশার সাথে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন সাংবাদিকরা এবং এই বিষয় নিয়ে তারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।এই সকল নকল এসি সারাদেশে সরবরাহ করার বিষয় মোঃ আবুল হোসেন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন আমি কোন এয়ারকন্ডিশন আমদানি করি না,আমি কোন আমদানিকারক নই আমি এই চায়না থেকে আমদানিকৃত অলিখিত কোম্পানির নাম বিহীন এসি গুলো এসি বাজার নামক প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করে বাজারজাত করে আসছি দীর্ঘদিন থেকে।
পরবর্তীতে এসি বাজার এর মালিক জোনাব আলীর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয় আমাদের মালিক জোনাব আলী স্যার এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া নিষেধ আছে।এয়ারকন্ডিশন নকলবাজ ও বাজারজাতকারি অভিযুক্ত আবুল হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের আইডি কার্ড ব্যবহার করে নকল এসির ব্যবসা ও সারা বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও সহ ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড করে আছেন।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অপরাধী দুর্নীতিবাজ যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।এহেন অপরাধী দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির শত্রু।
অনুসন্ধান চলমান,,,