দীর্ঘ টানা ২০০ দিনের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী বর্বরতায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৪ হাজার ২৬২ ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও এই সময়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৭ হাজার ২২৯ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ এই সংঘাতে বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভেস্তে গেছে। ফলে মুক্তি পায়নি গাজার শাসক গোষ্ঠী ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিরা। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হলে তাদের ছাড়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে হামাস।
এবার শর্ত দিয়ে অস্ত্র পরিত্যাগের কথা জানাল হামাস। সংগঠনটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কেবল দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন হলেই তারা অস্ত্র পরিত্যাগ করবে।
খলিল আল-হাইয়া নামের ওই হামাস নেতা বলেন, গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের সাথে পাঁচ বছর বা তার বেশি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে এবং একটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তর হতে ইচ্ছুক যদি ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান’ বাস্তবায়িত হয়।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-হাইয়া তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে এপির সাথে একটি সাক্ষাত্কারে বলেন, হামাস গাজা এবং পশ্চিম তীরের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনে অংশ নিতে চায়।
তিনি বলেন, “অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়- বিশ্বজুড়ে যারা দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, যখন তারা স্বাধীন হয়েছে এবং তাদের অধিকার ও রাষ্ট্র পেয়েছে, তখন তারা কী করেছে? তারা রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে এবং তাদের রক্ষাকারী যুদ্ধ বাহিনী জাতীয় সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়েছে।”
আল-হাইয়া আরও বলেন, রাফা শহরে ইসরায়েলের পরিকল্পিত স্থল আক্রমণ হামাসকে ধ্বংস করতে সফল হবে না।
ইসরায়েলি বাহিনী “[হামাসের] ক্ষমতার ২০ শতাংশের বেশি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়নি, না যোদ্ধা বা মাঠে,” যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “তারা যদি হামাসকে ধ্বংস করতে না পারে, তাহলে সমাধান কী? সমাধান হল ঐক্যমতের দিকে যাওয়া।”