মোঃ সালাউদ্দিন:- খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান হয়েছে।সোমবার(২৫ মার্চ ) বাদ আছর হইতে হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত হেযবুত তাওহীদের আয়োজনে এ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তাওহীদের চট্রগ্রাম বিভাগীয় রাজনৈতিক ও মিডিয়া সম্পাদক মো নুরুল আবছার সোহাগ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তাওহীদের ফেনী জেলা প্রচার সম্পাদক মোঃ উজ্জ্বল হোসেন, হাফছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন,সাবেক সদস্য মোঃ রমিজ উদ্দিন, স্থানিয় গন্যমান্য ব্যক্তিত্ব সহ অন্যান্য সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন সওমের অর্থ বিরত থাকা অর্থাৎ আত্মসংযম (self control) একজন মোমেন সারাদিন সওম রাখবে অর্থাৎ পানাহার ও জৈবিক চাহিদা পূরণ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে, আত্মাকে করবে শক্তিশালী।
সে অপচয় করবে না, মিথ্যা বলবে না, পশুর মতন উদরপূর্তি করবে না।
সে হবে নিয়ন্ত্রিত, ত্যাগী, নিজের জীবন সম্পদ উৎসর্গকারী এবং আল্লাহর হুকুম মানার ক্ষেত্রে সজাগ,সতর্ক।
তার এই চরিত্রের প্রতিফলন ঘটবে জাতীয়,সামাজিক ও সমষ্টিক জীবনে।
ফলে এমন একটি সমাজ গড়ে উঠবে যেখানে সবাই একে অপরের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে উৎসাহিত হবে।
যেখানে বিরাজ করবে সহযোগিতা ও সহমর্মিতা।
কিন্তু বর্তমান সমাজে আমরা এর উল্টা চিত্র দেখতে পাই। রমজান মাস আসলে সমস্ত মুসলিম বিশ্বে হুলস্হূল পড়ে যায়।
ব্যাপক প্রস্তুতি চলতে থাকে ঘরে ঘরে। এত রোজা রাখার পরও মানুষ এখানে আত্মকেন্দ্রিক এবং স্বার্থপর।
তারা আল্লাহর হুকুম দিয়ে সমাজ পরিচালিত করে না। প্রতিবছর মুসলিম বিশ্বে সওম পালিত হচ্ছে, তারা নাকি খাদ্যগ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করছেন।
প্রশ্ন হল, যদি নিয়ন্ত্রণেই করে থাকেন তাহলে প্রতিবছর রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি কেন হয়? আমাদের সমাজে অন্যায় অবিচার অন্য মাসের মতোই চলমান থাকে কেন? সত্যমিথ্যা, ন্যায় অন্যায়ের বোধ তাকওয়া যখন সৃষ্টি হচ্ছে না, তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে আমাদের সওম হচ্ছে না।
কারণ সওমের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকওয়া সৃষ্টি করা সুরা বাকারা ১৮৩ নং আয়াত।
এই যামনায় মানুষের সওম যে হবে না এই কথাটিই রাসুলুল্লাহ (সা,) বলেছেন, এমন সময় আসবে যখন মানুষ সওম রাখবে কিন্তু সেটা না খেয়ে থাকা হবে।