খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার জেলার অভ্যন্তরীণ আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি অক্ষুণ্ণ রাখতে সশস্ত্র সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন। মাটিরাঙ্গা থানা এলাকায় গত ১২ ডিসেম্বর থানার ৬নং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নতুনপাড়াস্থ জৈনক লাসাইবো মারমার বাগানে অর্ধ গলিত এক পুরুষের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই মৃত দেহের পরিচয় নিশ্চিত করে মহন ত্রিপুরা,অর্ধ গলিত লাশের গায়ের কাপড়ের মাধ্যমে, মহন ত্রিপুরা বলেন অর্ধ গলিত পুরুষের মৃতদেহটি তার বড় ভাই হৃদয় ত্রিপুরা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত হৃদয় ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গার হাজাছড়া নতুন পাড়া এলাকার মৃত: নর কুমার ত্রিপুরার বড় ছেলে ও মহন ত্রিপুরা মৃতব্যক্তির ছোট ভাই।
এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে মাটিরাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মৃত হৃদয় ত্রিপুরার ছোট ভাই মহন ত্রিপুরা। এই চাঞ্চল্যকররহস্য উদঘাটনে ১৭ই (মার্চ) রবিবার খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনায় মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কমল কৃষ্ণ ধরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে, এসআই(নিঃ) ময়নালের নেতৃত্বে, এএসআই (নিঃ) মোঃ শাহনেওয়াজের সহযোগিতায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।
এসময় চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস মাডার মামলার প্রধান আসামি কামিনি কুমার ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় কামিনি কুমার ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গার ৬নং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মুন্সীপাড়া গ্রামের মৃত ফাগুন চন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে।
এবিষয়ে ১৮ই মার্চ পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) সাংবাদিক দের বলেন খাগড়াছড়ি জেলায় যেকোন ধরনের ঘটনায় এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।