মিয়ানমারের ভেতর তাদের বর্ডার গার্ড পুলিশে (বিজিপি) চৌকিতে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে আরাকান আর্মি ফাঁকা গুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণ আতংক কমায়, ২৩ দিন পর ৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া দিয়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে। তুমব্রু
সীমান্ত থেমে থেমে গুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানান, ঘেঁষে বসবাসকারী এনামুল হক। তবে সীমান্তে সংঘাত না চললেও মিয়ানমারের ভেতরের গৃহযুদ্ধ চলমান রয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ঘেঁষে বসবাসকারী লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে সীমান্ত অনেকটা শান্ত রয়েছে। তবে মাঝে মধ্যেই তাদের সীমান্ত চৌকি থেকে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আরাকান আর্মির সদস্যরা। বিশেষ করে রাতে ও ভোরে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই এই কাজ করছে তারা, এমনটাই ধারণা করছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বসবাসকারী লোকজন।
অপরদিকে সদরের জাংছড়ি এলাকায় এই আওয়াজ কিংবা মর্টার শেলের শব্দও শোনা যায়। ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক জোন কমান্ডারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে টানা ২৩ দিন পর বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ঘুমধুম সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সাময়িক বন্ধ থাকা পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গুলোতে নিয়মিতভাবে ক্লাস চলবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে এপারে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো গত ২৯ জানুয়ারি বেলা ১২টায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ৩০ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলো খোলা থাকলেও মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের বিস্ফোরণে একজন বাংলাদেশী নারীসহ দুইজন নিহত হন। এরপর গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বাইশপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে ২৮ ফেব্রুয়ারী থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।