খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মাশরুম চাষে প্রচুর সম্ভাবনা থাকায় কৃষকেরা মাশরুম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন । বর্তমানে বিষাক্ত তামাকের বদলে মাশরুম চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন উপজেলার অনেক কৃষক।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সবুজ আলী জানান, আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্তমানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাশরুম চাষ হচ্ছে। মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধিগুণসম্পন্ন খাবার। এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। স্বাদ, পুষ্টি ও ঔষধিগুণের কারণে ইতোমধ্যেই এটি সারা দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণ যুবকরা মাশরুম চাষ করছেন। মাশরুম চাষ আমাদের এ অঞ্চলের বেকার সমস্যা সমাধান এবং বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো জানান, মাশরুম চাষের জন্য কোনো আবাদি জমির প্রয়োজন হয়না। যার মোটেই চাষের জমি নাই তিনিও বসত ঘরের পাশের অব্যবহৃত জায়গায় অথবা ঘরের উত্তর পাশের বারান্দা ব্যবহার করে অধিক পরিমাণ মাশরুম উৎপাদন করতে পারেন। বীজ উৎপাদনের জন্য যেসব কাঁচামালের প্রয়োজন হয় যেমন- খড়, কাঠের গুঁড়া, কাগজ, গমের ভুসি ইত্যাদি তা সহজলভ্য ও সস্তা। সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ মাশরুম চাষ করতে পারেন। স্বল্প পুঁজি ও শ্রম ব্যয় করে অধিক আয় করা সম্ভব। এছাড়াও মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কর্তৃক কৃষকবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হওয়ায় বাংলাদেশে মাশরুম চাষ সহজ হয়েছে।
প্রশিক্ষণ নিয়ে যে কেউ শুরু করতে পারেন এই মাশরুম চাষ। আর ঘরে বসে আয় করতে পারেন বাড়তি কিছু টাকা।