লামায় সন্ত্রাসী হামলায় মিয়ারাজ নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রক্তাক্ত। হেড ইনজুরিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়ে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাতরাচ্ছে। এ বিষয়ে লামা থানায় মামলা হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সরই ইউপির ৬ নং লামা সুয়ালক সড়কের লাল মেটি নামক স্থানে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানাগেছে। আহত মিয়ারাজ জানায়, সে শুক্রবার রাত আনুমানিক আটটার দিকে রিসিট বুক তৈরির অর্ডার করতে আমিরাবাদ যাচ্ছিল। কম্পনিয়া সরকারি প্রামমিক বিদ্যালয়ে একটু সামনে গেলে কুলসুম নামের পরিচিত এক নারী তাকে থামিয়ে সেও আমিরাবাদ যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তার বাইকে চড়ে। এর পর প্রায় দু'কিঃমিঃ যাওয়ার পর পথে মধ্যে লালমেটি নামক পয়েন্টে গিয়ে কুলসুমাকে রাস্তায় দাড়িয়ে রেখে সে সংযোগ সড়ক দিয়ে আরো প্রায় আধা কিঃমিঃ ভিতরে তার নিয়ন্ত্রণাধীন লাকড়ির স্টক দেখতে যায়। সেখানে পৌঁছার সাথে সাথে ওঁত পেতে থাকা একদল মানুষ তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে, এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। তাদের হাতে থাকা দা ছুরি দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। ওই সময় মিয়ারাজ ত্রিফল নাইনে কলদিয়ে জানায়। এরমধ্যে তার চিৎকার শুনে পার্ম্ববর্তী পাড়ার উপজাতিদের কেউ আহতের বড় ভাই আব্দুল আলিমকে মুঠো ফোনে জানালে, গ্রাম চৌকিদারসহ লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে কম্পনিয়া নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষনের মধ্যে পুলিশ পৌঁছে কম্পনিয়া থেকে তাকে একটি সিএনজিতে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সে জানায়, সন্ত্রাসীদের চারজনকে চিনতে পেরেছে। এর মধ্যে দেলোয়ার নামের একজন ছিল, যার বোন কুলসুমা ঘটনার আগেই আমিরাবাদ যাওয়ার অজুহাতে তার বাইকে চড়ে। বাকি তিনজন হলো, ফরিদ, রহমান ও আফসার। দেলোয়ার ও ফরিদের সাথে পূর্বের একটি বিরোধ নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। হামলাকারীরা মিয়ারাজের সঙ্গে থাকা মানিবেগসহ প্রায় ৫৫ হাজার নগদ টাকা, মোটর সাইকেল ও দুইটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। তবে ঘটনার পরই পুলিশ মোটর সাইকেলসহ মোবাই ২টি উদ্ধার করে গ্রামের সর্দারের কাছে জমা দেয়। আহত মিয়ারাজ বলেন "তারা আমাকে ফাঁসিয়ে মেরে হত্যা করার জন্য ফাঁদ পেতেছিল"। এ ব্যপারে লামা থানায় অভিযোগ করেছে আহত মিয়ারাজ। এদিকে ঘটনার স্বাক্ষীদেরকে মামলা হামলার হুমকি দিচ্ছে ফরিদগং। পুলিশকে দেয়া মোঃ মুসা নামের এক স্বাক্ষীকে অপহরণ মামলাসহ হামলা করার হুমকি দিচ্ছে বলে জানাগেছে। এ ব্যপারে লামা থানার ওসি জানান, ফরিদ গংএর বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।