শাহরিয়ার সুমন
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন এই সাংবাদিক দম্পতি। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।কিন্তু এক যুগ পার হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ১৩ বছরেও বিচার না হওয়ায় খুনীদের গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা শাখা পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ সভা পালন করা হয়েছে।রবিবার সন্ধ্যায় পাহাড়তলী শেখ রাসেল শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ আরেফিন, মাই টিভি'র প্রতিনিধি নাসির উদ্দীন লিটন।অপরাধ বিচিত্রার বার্তা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, স্বাধীন সংবাদ প্রতিবেদক হেলাল উদ্দিন। বিএমইউজে'র চট্টগ্রাম জেলা কমিটির আহবায়ক দৈনিক স্বাধীন সংবাদের বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান শহিদুল ইসলাম, যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান দৈনিক পূর্বকোণ, সদস্য সচিব মোঃ রাব্বি দৈনিক দিগন্তের বার্তা, মোঃ বেলাল উদ্দিন আবাসিক সম্পাদক দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ, অন্তর মাহমুদ রুবেল দৈনিক একুশে সংবাদ ও স্বত্বাধিকারী নিউজডে ২৪, মোঃ সোহেল আমিন দৈনিক নবজীবন, দৈনিক মাতৃভূমির খবরের বিভাগীয় প্রধান মোঃ মুরাদ বিপ্লব সহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা বলেন - দুজন সাংবাদিককে এক যুগেরও বেশী সময় হত্যা করা হয়েছে।তাদের হত্যাকারীদের এখনও গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ জানাচ্ছি। ১০৭ বারেও তদন্তকারী সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি, হত্যাকারীদের এখনও গ্রেফতার করতে না পারা তদন্তকারী সংস্থা'র ব্যর্থতা বলে দাবি করেন। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনী নিজ গৃহে নির্মমভাবে খুন হয়েছিলেন। এক যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত হত্যাকারীদের এখনো সনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়াও থমকে আছে। নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বিএমউজে সহ গোটা সাংবাদিক সমাজ আজও সোচ্চার।