বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে জনগণের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা হচ্ছে। দলীয় ক্যাডার সিন্ডিকেটের খরচ জোগাতে রাষ্ট্রীয় কোষাগার শূন্য করছে সরকার। রাষ্ট্রীয় শক্তিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছে সরকার। মিথ্যা-বানোয়াট কথা বলার জন্য আওয়ামী লীগ মন্ত্রীদের পুরস্কার দেয়া যেতে পারে।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে কমানোর চিন্তা করতো সরকার। অযৌক্তিক কারণে মিটার ভাড়া খরচ দ্বিগুন করা হয়েছে। সাত জানুয়ারির নির্বাচন সার্কাসের শাস্তি হিসেবে জনগণের গ্যাসের মিটারের ভাড়া দ্বিগুন করা হয়েছে। মিটার ভাড়া দ্বিগুন করা সরকারের ‘গণশত্রু চরিত্রের’ বহিঃপ্রকাশ।
বিএনপির পক্ষ থেকে কালো পতাকা মিছিলে মঈন খানসহ দলের নেতাকর্মীদের হয়রানির নিন্দা জানান রিজভী। কালো পতাকা মিছিলে সারাদেশে বিএনপির একশর বেশি নেতাকর্মী গ্রেফতার ও ৪৫৬ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে পরিণতি কী হবে সেটা জেনেই অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দেয় না সরকার। সত্য ন্যায়ের পক্ষে যারা কথা বলে তাদেরই বিএনপির দোসর হিসেবে প্রচার করছে আওয়ামী লীগ।