এম.ডি.এন.মাইকেলঃ
গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার অন-লাইন ভার্সন ও ১৪ই জানুয়ারি-২৪ ইং তারিখে প্রিন্ট ভার্সনে বিআইডব্লিউটিএ এর প্রকৌশলী মূঃ কবির হোসেন এর অনিয়ম-দূর্নীতির রুখবে কে"শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে প্রকৌশলী কবির হোসেন বিভিন্ন ব্যক্তি দিয়ে এই প্রতিবেদকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করে ও বর্তমান কথা পত্রিকা অফিসে এসে বলে আগামীতে প্রকৌশলী কবির হোসেন এর অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত না করার জন্য অনুরোধ করেন।
উল্লেখ প্রকৌশলী কবির হোসেনের পক্ষে সাফাই/সুপারিশ করার জন্য যে সকল ব্যক্তি অনুরোধ করেছিলেন তারা সবাই এমএমই শাখায় ঠিকাদারী কাজে বিভিন্ন ভাবে তার থেকে সুবিধাভোগ করে থাকেন। প্রশ্ন জাগে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিকতা আর পেশাদার সাংবাদিকদের রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত করে রাষ্ট্রকে অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য সরকারকে সাহায্য করে থাকে কিন্তু দেশ ও জাতির কল্যাণ তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় বাধা প্রদান করা সাংবাদিকতা পেশা ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজে সবচেয়ে বড় বাধা।
গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিআইডব্লিউটিএ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মূঃ কবির হোসেন অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন অঢেল সম্পদের পাহাড়।তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) মূঃ কবির হোসেন এর অনিয়ম দুর্নীতি রুখবে কে?বিআইডব্লিউটিএ এর যান্ত্রিক শাখায় যোগদানের পর থেকে তিনি অনিয়ম দুর্নীতিকে পেশা হিসাবে নিয়েছেন যাহা বিআইডব্লিউটিএ ভবনে ওপেন সিক্রেট।যদিও সরকারি চাকরির নীতিমালার সাথে তার এই সকল অনিয়ম দুর্নীতি কর্মকান্ড সাংঘর্ষিক।তার নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ এই প্রতিবেদককের হাতে সংরক্ষিত।অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তার অনিয়ম দুর্নীতির নানান ফিরিস্তি। প্রতিটি ঠিকাদারি কাজে তার চাহিদা মতো ঘুষ ১০% থেকে ১৫% না দিলে সেই সব ঠিকাদার কাজ পাওয়া অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করার মতো।এখানে উল্লেখ থাকে যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি ঠিকাদারি কাছে অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য ইজিপি পদ্ধতি চালু করেন কিন্তু বাংলায় একটা প্রবাদ আছে চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী ঠিক তেমনি ইজিপি পদ্ধতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাজের গোপন (রেটকোট) তথ্য তিনি যেই সকল ঠিকাদারদের থেকে ঘুষ নিয়ে থাকেন তাদের হাতে তুলে দিয়ে থাকেন।
এই ইজিপি কাজের বিষয় কয়েকজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করা শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন সাংবাদিক ভাই আমরা যতই সরকারি নিয়মকানুন মেনে দরপত্র আহ্বানের সকল শর্ত পূরণ করে এমএমই শাখায় টেন্ডার সাবমিট করি না কেন আমরা কাজ পাই না কারণ আমরা প্রকৌশলী মূুঃ কবির হোসেন স্যার এর চাহিদা মত ১০% থেকে ১৫% ঘুষ দিতে পারিনা তাই আমরা কাজ পাই না।অন্য এক প্রশ্নের জবাবে উক্ত ভবনে কয়েকজন ঠিকাদার আক্ষেপ করে বলেন ১০% থেকে ১৫% টাকা ঘুষ দেওয়ার পরে আবার যখন কাজ সম্পন্ন করে বিল সাবমিট করি তখন আবারও তাহার চাহিদা মত ঘুষ না দিলে আমাদের কাজের বিল পাস হয় না।সাংবাদিক ভাই আমরা এই সকল অনিয়ম দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে চাই।এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় জানতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মূঃ কবির হোসেন এর মুঠোফোন বেশ কয়েকবার ফোন দিয়ে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মূঃ কবির হোসেন এর অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বিস্তারিত পর্বে। --অনুসন্ধান চলমান