• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

নৌ-প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এর হাতে ছাত্রলীগ নেতা শারীরিকভাবে লাঞ্চিত

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

এম.ডি.এন.মাইকেলঃ

গত ১৭ই ডিসেম্বর-২৩ইং রবিবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)প্রধান কার্যালয়ের সপ্তম তলায় নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল)আশরাফ এর কক্ষে মতিঝিল থানা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ও জাতীয় কমিশন গঠন দাবি বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ন আহবায়ক সোহেল রানাকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর এপিএস আ ন ম আহমাদুল বাসার শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।ভুক্তভোগী সোহেল রানা এই প্রতিবেদককে বলেন তিনি বিআইডব্লিউটিএ ভবনে একজন তালিকাভুক্ত ঠিকাদার প্রতিদিনের ন্যায় ১৭ ডিসেম্বর বিআইডব্লিউটিএ ভবনে কাজের খোঁজে জনৈক গাজী ভাইকে নিয়ে সপ্তম তলায় নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল)আশরাফ স্যারের কক্ষে প্রবেশ করি স্যারের সাথে কৌশলাদি বিনিময় করার কিছুক্ষণ পরেই উক্ত কক্ষে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর এপিএস আ ন ম আহমাদুল বাসার প্রবেশ করেই আমার কাছে জানতে চান তুই এখানে কি করিস? তোকে এই ভবনে কে বলছে আসতে এই বলে আমাকে এলোপাতাড়ী কিল ঘুশি লাথি মারতে থাকে এবং বলে আগামী পাঁচ বছর যেন এই ভবনের তোর ছায়াও না দেখি এই ভবনের আশেপাশে আজকের পর যদি তোকে দেখি তা হলে দুনিয়ায় থেকে বিদায় করে দেব এই বলে মারতে মারতে আশরাফ সারের রুম থেকে টেনে হিঁচড়ে সিড়ির সামনে এনে বলে এই দিক দিয়ে দ্রুত নেমে যা পিছনে ফিরে তাকাবি না।।

তিনি আরও বলেন এপিএস বাশার আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার পর ঘটনাটি আমি তাৎক্ষণিকভাবে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মহোদয় কে তাহার মুঠোফোনে অবগত কারার পর তিনি বলেন বিষয়টি আমি পরে দেখবো এই বলে মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এই প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগী রানা বলেন আমার সাথে প্রতিমন্ত্রীর এপিএস বাসার এর সাথে কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই আমি নিজেও জানিনা তিনি কি কারণে আমার উপর তিনি হামলা করেছেন। আমি মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও জাতীয় কমিশন গঠন দাবি বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ন আহবায়ক আমার সাথে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য আমার নেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।১৭ তারিখে বিআইডব্লিউটিএ ভবনের সপ্তম তালায় নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) জনাব আশরাফ সাহের কক্ষে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয় জানতে আশরাফ সাহেবের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার পর ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনার বিবরণীতে তিনি বলেন রানার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন রানা অত্যন্ত ভদ্র ছেলে আমাকে দেখলে সব সময় সম্মান করে।১৭ তারিখের ঘটনার সময় নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ সাহেবের কক্ষে উপস্থিত ঠিকাদার এমদাদ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ঐদিনের ঘটনার আমি কিছুই দেখিনি।আশ্চর্যের বিষয় তিনি ও তার ছোট ভাই নাঈম তখন ঐ কক্ষেই বসে ছিলেন তারপরও তিনি নাকি কিছুই দেখেননি! পরবর্তীতে এই প্রতিবেদকের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন রানা এপিএস বাসার সাহেব এর সাথে বেয়াদবি করেছে প্রতিবেদক প্রশ্ন রাখেন ছাত্রলীগ নেতা রানাকে লাঞ্চিত করার ঘটনার আপনি কিছুই দেখেননি কিন্তু রানা বেয়াদবি করেছে তা কি করে দেখেছেন এই প্রশ্নের কোন সুউত্তর তিনি দিতে পারেননি।

ঘটনার সময় উপস্থিত জনৈক গাজী’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ১৮ তারিখ রবিবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে চার ঘটিকার সময় ডিআইডব্লিউটি এর সপ্তম তলায় নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ সাহেবের কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা রানার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সত্য নৌ প্রতিমন্ত্রী এপিএস বাসার কোন কারণ ছাড়াই কক্ষে প্রবেশ করেই রানাকে এলোপাতাড়ী ভাবে কিল ঘুসি লাথি মারতে মারতে টেনে হিচড়ে কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যান।গাজী আরো বলেন বাসার হতে পারেন একজন প্রতিমন্ত্রীর এপিএস কিন্তু তিনি তো আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না।তিনি আরো বলেন এই ঘটনার পরে রানাকে বলেছি মতিঝিল থানায় গিয়ে নৌ-প্রতিমন্ত্রীর এপিএস বাসার এর নামে একটি সাধারণ ডায়েরি করার জন্য এবং রানার সাথে ঘটে যাওয়ায় ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।এই বিষয়ে জানতে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর এপিএস আ ন ম আহমাদুল বাসার এর মুঠোফোনে বারবার ফোন দিয়ে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর এপিএস আ ন ম আহমাদুল বাসার এর অনিয়ম দুর্নীতির বিস্তারিত আগামী পর্বে,,,,


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ