মোহাম্মদ ইউনুছ নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি,
পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চল নাইক্ষ্যংছড়িতে পৌষের তীব্র শীতে কাপছে সাধারণ মানুষ। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহে এখানকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতায় জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি দুর্গম এলাকাগুলোর পাহাড়ি দুস্থ ও শ্রমজীবী মানুষের জবুথবু অবস্থা। এছাড়া শীতজনিত কারণে সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এখানকার মানুষ। তবে এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। পাহাড়ি নারী নিংলে মুরুং বলেন, আমাদের পাড়ার সবাই গরিব। চাহিদামতো শীতের কাপড় কেনা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন কাটছে আমাদের জীবন। সরকারিভাবে যদি আমাদেরকে কম্বল দিয়ে সহায়তা করা হয় তাহলে ভালো হতো। সোনাইছড়ি মাঝের পাড়ার মোমি মারমা বলেন, বৎসরের চেয়ে এ বছরে শীত পড়েছে বেশি । শীত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের পাড়ায় সন্ধার পরেই আগুনের মেলা বসে। অনন্য আন্য বৎসর গুলোতে এনজিও বা প্রশাসনের পক্ষে থেকে শীত বস্ত্র দিলেও এই বৎসর তা এখনো চোখে পড়েনি। তাদের মত শীতের প্রভাব পড়েছে বাঙালি সহ বিভিন্ন জাতীয় অসহায় মানুষের জীবনে। তীব্র শীতের কারণে দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ায় পরিবার-পরিজনের খাদ্য যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দুস্থ ও শ্রমজীবী মানুষদের। এ বিষয়ে বাঙালি শ্রমিক নুরুল কবির বলেন, এ বছর অতিরিক্ত শীতের কারণে আমরা কোনও কাজ ঠিকমতো করতে পারছি না। কাজ করতে না পারায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এদিকে শীতজনিত কারণে উপজেলায় ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক (শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ) আবু জাফর মোহাম্মদ সেলিম বলেন, শীতজনিত কারণে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে দুস্থ ও শ্রমজীবী মানুষজনের শীতের কষ্ট লাঘবে গরম কাপড় ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।