• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

“কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ” এখনো বহাল তবিয়াতে মতিঝিল অফিস পাড়ায় অবৈধ স্টাফ বাস স্ট্যান্ড (পর্ব-৪)

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

এম.ডি.এন.মাইকেলঃ

মতিঝিল অফিস পাড়ায় যত্রতত্র স্টাফ বাস স্ট্যান্ড শিরোনাম গত ১০ই আগস্ট ২৩ইং ও ১৭ই আগস্ট ২৩ইং ২৩শে অক্টোবর -২৩ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার প্রথম পাতায় ও বর্তমান কথা পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।প্রতিবেদন তিনটি প্রকাশিত হওয়ার পর স্ট্যাফ বাস মালিকদের পক্ষ নিয়ে এমারত শেখ নামে জনৈক ব্যক্তি প্রতিবেদককে প্রাণ-নাশের হুমকি দেয়।পরবর্তীতে প্রতিবেদক নিজের জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন (জিডি নাম্বার-১৭২৭)প্রতিবেদন তিনটি প্রকাশিত হওয়ার পরেও মতিঝিল অফিস পাড়ায় স্টাফ বাস স্ট্যান্ড সরানোর বিষয়ে প্রশাসন ওই স্টাফ বাস মালিক পক্ষ থেকে কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি যার ফলে এখনো অফিস পাড়ায় স্টাফ বাস স্ট্যান্ড যথা স্থানগুলোতে রয়েছে।এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন স্টাফ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন ৩১ শে আগস্ট এর পরে মালিকদের মিটিং ডেকে সিদ্ধান্ত নেবেন মতিঝিল অফিস পাড়া থেকে স্টাফ বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নিবেন কিন্তু দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত মতিঝিল অফিস পাড়া থেকে স্টাফ বাস স্ট্যান্ড সারানোর কোনো উদ্যোগ নেন নাই। সুত্রে জানা যায় গত দুই মাসে মালিক সমিতির তিন তিনবার মিটিং করেছেন কিন্তু কোন মিটিংই মতিঝিল অফিস পাড়ায় যত্রতত্র স্টাফ বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়া নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয় নাই।স্টাফ বাস মালিক সমিতির অন্য আরেকটি সূত্র থেকে জানা যায় কোন কিছুতেই তারা মতিঝিল অফিস পাড়া থেকে স্টাফ বাস স্ট্যান্ড অন্যত্র সরিয়ে নিবেন না এমনকি যারা মতিঝিল স্টাফ বাস স্ট্যান্ডের দেখ ভালোর দায়িত্বে আছেন তারা নাকি অতিতের ন্যায় সকল সমস্যার সমাধান করবেন যাহা নিয়ে মতিঝিল অফিস পাড়ায় আসা কর্মজীবী মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।প্রতিবেদন দুইটি প্রকাশিত হওয়ার পর স্টাফ বাস মালিকদের মধ্যে কয়েকজন প্রকাশ্য বলে বেড়ায় যে এই সব পত্রিকার নিউজ পড়ে কার,,,,,,,,,,,এবং এই সকল পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত করে আমাদের,,,,,,,,,টাও ফেলতে পারবে না আমরা স্টাফ বাস মালিকরা মাসিক মাশোয়ারা দিয়ে মতিঝিল অফিস পাড়ায় রাস্তার উপরে স্টাফ বাস স্ট্যান্ড বানিয়েছি।তাই প্রশ্ন জাগে স্টাফ বাস মালিকদের থেকে মাসিক মাসোয়ারা কে নিয়ে থাকে? পরবর্তীতে মতিঝিল অফিস পাড়ায় স্টাফ বাস স্ট্যান্ড গড়ে ওঠার বিষয়ে স্টাফ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান ঝন্টু’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হয় মতিঝিল অফিস পাড়ায় স্টাফ বাস স্ট্যান্ড তৈরির কোনো প্রকার অনুমতি আছে কি না? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন মতিঝিল অফিস পাড়ায় স্টাফ বাস স্ট্যান্ড করার কোনো অনুমতি নেই।এই প্রতিবেদক প্রশ্ন রাখেন তা হলে দীর্ঘদিন থেকে কেনো আপনারা মতিঝিল অফিস পাড়ায় স্টাফ বাস স্ট্যান্ড তৈরী করে রেখেছেন? আপনাদের যত্রতত্র স্টাফ বাস স্ট্যান্ড এর কারণে মতিঝিল অফিস পাড়ায় আসা মানুষজন তীব্র যানজট মুখে পড়তে হয়। এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি করি তাই আমি ব্যস্ত থাকি তাই আগস্ট মাসের শেষে স্টাফ বাস মালিক সমিতির মিটিং ডেকে মতিঝিল অফিস পাড়ায় স্টাফ বাস স্ট্যান্ড না করার জন্য বলবো।রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল অফিস পাড়ায় রাস্তাগুলোর দুই পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্টাফ বাস স্ট্যান্ড। এই সকল অবৈধ স্টাফ বাস স্ট্যান্ডের কারণে প্রতিনিয়ত অফিস পাড়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।যদিও স্টাফ বাসের মূল কাজ হচ্ছে মতিঝিল অফিস পাড়ায় সরকারি বেসরকারি স্টাফদের আনা নেওয়া করা। অফিস শুরু হওয়ার আগে সকালে স্টাফদের নামিয়ে দিয়ে চলে যাওয়া এবং বিকেলবেলা অফিস শেষ হওয়ার পর এসে নিয়ে যাওয়া কিন্তু এখানে চিত্র সম্পন্ন ভিন্ন স্টাফদের নামিয়ে দেওয়ার পর স্টাপ বাস গুলো মতিঝিল অফিস পাড়ার বিভিন্ন রাস্তা দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এতে করে অফিস-মুখী মানুষজন তীব্র যানজটের মুখোমুখি হয়। সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় মতিঝিল দিলকুশা,মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা,দৈনিক বাংলা মোড় থেকে শাপলা চত্বর,শাপলা চত্বর থেকে আরামবাগ সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স রাস্তার উপর, ইত্তেফাক মোড় থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয় এর উত্তর পাশ থেকে দৈনিক বাংলা মোর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অবৈধ স্টাফ বাস স্ট্যান্ড।মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা রাস্তার উপর স্টাফ বাস স্ট্যান্ড গড়ে ওঠার বিষয় জানতে দৈনিক বাংলা মোড় ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর (টিআই) রাশেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিস্তারিত শোনার পর বলেন এইসব এরিয়া আমার আন্ডারে না এই বলে তিনি মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় টিআই রাশেদ ওই সকল এরিয়ায় ফুটপাতের হকার উচ্ছেদের জন্য দায়িত্ব পালন করছেন তাই প্রশ্ন জাগে অবৈধ স্টাফ বাস স্ট্যান্ড যদি তার আন্ডারে না হয় তাহলে ফুটপাত কিভাবে ওনার আন্ডারে হয়?
(অনুসন্ধান চলমান বিস্তারিত আগামী পর্বে)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page