• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন

“কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি” মতিঝিল ডিপিডিসি জোন এর মিটার রিডার বাবুল এর অনিয়ম দুর্নীতির নেপথ্যে কারা? (পর্ব-৩)

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গত ১৬ই নভেম্বর -২৩ ইং ও ২৩শে নভেম্বর জাতীয় দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার অনলাইন ভার্সন ও প্রিন্ট ভার্সনে মতিঝিল ডিপিডিসি জোনের মিটার রিডার বাবুল এর অনিয়ম দুর্নীতির নেপথ্যে কারা শিরোনামে দুইটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।প্রতিবেদন দুইটি প্রকাশিত হওয়ার পরও অনিয়ম দুর্নীতির সহযোগীদের সহায়তায় মিটার রিডার বাবুল এখনো স্বপদে বহাল।অন্য দিকে মিটার রিডার বাবুল বিভিন্ন ব্যক্তি দিয়ে এই প্রতিবেদককের মুঠো ফোনে ফোন করিয়ে আগামীতে বাবুল এর অনিয়ম-দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। উল্লেখ্য ফোন করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সিবিএ নেতা সাংবাদিক রাজনৈতিক নেতা গংরা।অন্যদিকে মিটার রিডার বাবুল তার কর্মস্থলে প্রকাশ্য বলে বেড়ান সাংবাদিক আর আমার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত করবে না তিনি আরও বলেন সংবাদ প্রকাশিত করে আমার কিছুই করতে পারবে না কারণ টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে আমি আমার উপর মহলের সবাইকে ম্যানেজ করেই চলি।গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।কিন্তু বাংলায় একটা প্রবাদ আছে চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। মতিঝিল জোন এর মিটার রিডার বাবুল এর অনিয়ম দুর্নীতি দেখার কেউ নেই!তিনি অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজধানী ঢাকার মালিবাগে ২:৫ কাঠার প্লট উক্ত প্লটে ভবন নির্মাণের জন্য রাজউক থেকে প্লান পাস প্রক্রিয়াধীন।এছাড়াও গাজীপুর জেলায় রয়েছে কয়েক কোটি টাকার প্লট গ্রামের বাড়ী ভোলায় রয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ এছাড়াও নামে বেনামে বিপুল সম্পদ।তিনি তার অনিয়ম দুর্নীতির ডাকতে ক্ষমতাসীন দল এর আওতাভুক্ত শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সংগঠন সিবিএ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। প্রশ্ন হলো একজন মিটার রিডারের বেতন সর্ব সাক্যল্যে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা এই টাকায় সংসার খরচ ও ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ করে বাকি কয় টাকা থাকে? অনুসন্ধানে জানা যায় মিটার রিডার বাবুল ডিপিডিসি মতিঝিল জোনে বদলি হয়ে আসার আগে যে সকল স্থানে চাকরি করেছেন প্রত্যেক জায়গায় অনিয়ম দুর্নীতি করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় তার রয়েছে নিজস্ব নিয়োগকৃত দক্ষ কয়েকজন সহকারি এই সকল সহকারীদের দিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তিনি নিজের আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত থাকেন এমনকি ওই সকল সহকারীদের তিনি মাস শেষ বেতন প্রদান করেন।মতিঝিলের ফকিরাপুল আরামবাগ এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত রয়েছে অগণিত প্রিন্টিং প্রেস যার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই এ-ই সুযোগে ডিপিডিসি মতিঝিল জোন এর মিটার রিডার বাবুল তার নিয়োগকৃত সহকারীদের দিয়ে সারাদিন ঘুরে ঘুরে তলায় তলায় লাইন কর্তনের ভয় দেখিয়ে এবং লাইন কর্তন করে মোটা অংকের উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে,এ-ই ঘুষ অনিয়ম দুর্নীতির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।জাতীয় দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ডিজিটাল মিটার টাম্পারিং সহ অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।বাবুল তার নিয়োগকৃত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে ডিজিটাল মিটার পাঞ্চ করিয়ে ডিজিটাল কার্ড মিটারের ভিতর দিয়ে সরাসরি লাইন দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।এই সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে মিটার রিডার বাবুল এর মুঠো ফোনে বার বার ফোন দিয়ে এবং খুঁদে বার্তা পাঠিয়ে ও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।মিটার রিডার বাবুলের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে নিয়ে মতিঝিল ডিপিডিসি জোনের প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিনের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এখানে যোগদান করেছি মাত্র কয়েক মাস আগে এখনো আমি ঠিকভাবে সবাইকে চিনি না তাই এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে আমি পারছি না।উল্লেখ থাকে যে তিনি গত আগস্ট মাসে মতিঝিল ডিপিডিসি জোনে যোগদান করেন
(অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী পর্বে)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page