শিক্ষক, জুয়েলারি সোনা ব্যবসায়ি, মহাজন। লামা পৌর শহরে একটি প্লট নিয়ে মালিক বনে যায় সে। রাজিব মাস্টার একটি বাজার প্লটের মালিক হয়েছে। তার এই মালিক হওয়ার জের ধরে প্রতিবেশিরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে। ঘটনা স্থল লামা পৌর শহরের আরামবাগ হোটেল এর পেছনে পশ্চিম অংশে। লামা বাজারের সোনা ব্যবসায়ি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজিব কান্তি দাশ, পিতা মনোরঞ্জন দাশ, বাজারের অপর এক কাপড় ব্যবসায়ি কামাল উদ্দিন থেকে একটি প্লটে স্থিত ঘর ভাড়া নেয়। তাদের উভয়ের মধ্যে অগ্রিম সালামিসহ মাসিক ভাড়া চুক্তিও রয়েছে। কিন্তু রাজিব কান্তি দাশ ওই চুক্তি লঙ্ঘন করে ভাড়া ঘরের তলাটি নিজের বলে দাবি করতে থাকে। জানাযায়, কয়েক বছর ভাড়া থাকার পর রাজিব কান্তি দাশ ফাঁকফোকর বের করে বান্দরবান বাজার ফান্ডের নিকট আবেদন করে ওই জায়গাটি ৩২/২০১৬-২০১৭ তাং হতে পরবর্তী ১০ বছরের জন্য ৩৬৬ নং প্লট হিসেবে নিজের নামে অনুমোদন করায়ে নেয়। এদিকে অনেকদিন ধরে ভাড়া না পেয়ে কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে রাজিব কান্তির বিরুদ্ধে লামা পৌর বিরোধ নিস্পত্তি বোর্ডে প্রতারণামূলক ভাড়াঘরের প্লটটি নিজের করে নেয়ার বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন। সূত্রে জানাযায়, রাজিব কান্তি দাশ কামাল উদ্দিন সওদাগর থেকে ঘরসহপ্লট বন্ধক নেয়। এর পর চতুর রাজিব কান্তি সুযোগ বুঝে সংশ্লিষ্টদেরকে ম্যানেজ করে ৩৬৬ নং প্লটের মালিকানা লাভ করে। এর পর প্রতিবেশি দশজনের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রাজিব কান্তি দাশ বান্দরবান সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে অপর মামলা ১৮৬/২০২৩ দায়ের করেন। মামলায় যাদেরকে বিবাদী করা হয়, তারা হরো; কামাল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন ও দেরাজ মিয়া, সর্বপিতা মৃত ইসহাক মিয়া সওদাগর। মোঃ তাজমিম ও তামিম, উভয় পিতা দেরাজ মিয়া। রুপক কান্তি দাশ, পিতা মৃত গোপাল চন্দ্র দাশ, রিতা মুরুং পিতা মৃত লাংরি মুরুং ও তার সন্তান বাবু মুরুং। বাজারের কাপড় ব্যবসায়ি লোকমান সওদাগর ও আলমগীর পিতা জাকের হোসেন। এই মামলায় প্রতিবেশি প্লট নং ১৯১ এর মালিক রিতা মুরুং ও তার শিক্ষানুরাগী ছেলেকে আসামী করে হয়রানি করা হচ্ছে মর্মে দাবি করেছেন রিতা মুরুং। জানাযায়, শিক্ষক ও সোনা ব্যবসায়ি রাজিবের স্ত্রীও একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। রাজিব সোনা ব্যবসার আদলে সুদের ব্যবসা করছে। কতিথ আছে, বন্ধকি সোনা ছাড়াতে আসলে রাজিব কান্তি দাশ এমিটেশন এর অলঙ্কার ধরিয়ে দেয় বলে জানাগেছে। লামায় সাধারণ মানুষকে ডেসটিনিতে বিনিয়োগ করাতে উদ্যেক্ততা চক্রের একজন এই রাজিব কান্তি দাশ। যার ফাঁদে হাজার মানুষ আর্থিক প্রতারণার শিকার। প্রতারণার নতুন নতুন ফাঁদ বানাতে যে কজন পটু মানুষ রয়েছে, তাদেরই একজন রাজিব কান্তি দাশ প্রকাশ, রাজিব মাস্টার। পরের পর্বে থাকবে কে এই রাজিব? কিভাবে রাজিব মাস্টার থেকে সোনা বেপারী মহাজন রাজিব কান্তি হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে কতিথ অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য গত কয়েকদিন ধরে রাজিব কান্তি দাশের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সে রাজিব মাস্টার এসব নিয়ে কথা বলতে রাজি হচ্ছেনা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হলে সে সকল শাস্তি মেনে নিবে বলে জানায়।