লামায় ভূঁইফোড় ওয়ারিশ সেজে স্থানীয় এক কৃষকের দীর্ঘ বছরের ভোগ দখলীয় ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোর দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সুপার বান্দরবান বরাবর করা এক অভিযোগে প্রকাশ, লামা উপজেলা ২৯৫ নং লামা মৌজার মেওলার চরে কৃষক জাকের হোসেন বিগত শতাব্দির ৭০'র দশক থেকে কিছু জমিজমা চাষ করে আসেছ। সেখানে তাদের খামার বাড়িও রয়েছে। তার বাবা আলীমিয়া ওই এলাকায় একজন স্বনামধন্য বিশ্বস্ত কৃষক। নিষ্ঠাবান বিশ্বস্ততার কারণে কৃষক আলীমিয়া চকোরিয়ার এক জমিদার এর লামা মেওলা চরসস্থ সকল জমিজমা দেখবাল করে অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় পার করেন। আলীমিযার ছেলে কৃষক জাকের হোসেন অভিযোগে জানান, সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দা তার চাষাবাদকৃত জমির পাকাধান কাটতে দিচ্ছে না। যার ফলে ক্ষেতে ধানগুলো নষ্ট হচ্ছে। বাধাদানকারীরা হলো, দলিল আহম্মদ (৫৫), পিতা- মৃত নুর হোসেন, রাসেল (২৮), পিতা- দলিল আহম্মদ, রাজিয়া বেগম (৪৫), স্বামী- দলিল আহম্মদ, বেলাল হোসেন (৫৫), পিতা- মৃত ঠান্ডা মিয়া ও ইসমাইল (২২), ইউনুছ মিয়া (২০), উভয় পিতা- বেলাল হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন মিলে ষড়যন্ত্র করে তার দখলীয় ক্রয়কৃত জমির ধান কাটতে বাঁধা দিচ্ছে। জাকের হোসেন জানান, ২৯৫নং লামা মৌজার মেওলার চরে তার নামীয় বায়নানামা দলিল ৬৭১/৯৭ মূলে আর ২২৫ ও আর ২৩১, আর ২৩৩ এর আন্দর ১০ একর ২য় শ্রেণীর জায়গা রয়েছে। এসব জমি তিনি কিনে নেওয়ার পর থেকে বিগত ২৬ বছর ধরে ভোগ-দখলে শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন চাষাবাদে স্থিত আছে। কিন্তু অভিযুক্তরা কিছুদিন ধরে উক্ত জায়গা দখলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় নানান ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার আশ্রয় নিতে থাকে। তারা জাকের হোসেনের জমি আত্মসাতের জন্য ভূয়া ওয়ারিশ বানিয়ে একটি সাদা কাগজে ক্রয় দলিল তৈরি করেন। অনিবন্ধিত স্থানীয় ওই ভিত্তিহীন দলিলে জবর দখলকারীর তাদের খয়েরখাঁ লোকদের স্বাক্ষী বানায়। ওই বানানো দলিল মূলে দাবি করতে থাকে জাকের হোসেনের ভোগদখলে চাষে স্থিত ক্রয়কৃত জমি। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ১১/১০/২০২৩ইং তারিখ বিকাল অনুমাণ ৪.০০ঘটিকার সময় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার ভোগ-দখলীয় ১৭৬১, ১৮০৪, ১৮১০, ১৮১১, ১৮৩০-১৮৩৪ নং দাগের জমিতে বিবাদীগণসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনধিকার প্রবেশ করে জোর পূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় হামলাকারীরা উক্ত জায়গায় জাকের এর সৃজন করা অসংখ্য ফলদ ও বনজ গাছগাছালী কেটে ফেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা জাকেরকে হুমকি দিয়ে বলে 'উক্ত জায়গায় গেলে কেটে টুকরা টুকরা করে ফেলবে এবং লাশ বস্তা ভরে নদীতে ফেলে দিব'। তারা জাকেরের পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে। তাদেরকে জবর দখলে বারন করলে, অভিযুক্ত ও অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা দা নিয়ে জাকেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাড়া করে। ওইদিন কৃষক জাকের কোন রকম পালিয়ে প্রানে রক্ষা পায়। জাকের জানান, এই বিষয়ে স্থানীয় কতিপয় জনপ্রতিনিধির নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির অভাবে জুলুম নির্যাতন কমছে না জবর দখলকারীদের। বিচার চেয়ে জাকের হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশ সুপার ও প্রশানের কাছ আইনগত সহায়তা কামনা করেছেন।