দেশে বহুল প্রচারিত দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি বিতর্কিত সাংবাদিক আব্দুর রউফের বিভিন্ন অপকর্ম উল্লেখ করে খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ,
৯অক্টোবর সোমবার খাগড়াছড়ি এফএনএফ রেস্টুরেন্টে এ সাংবাদ সম্মেলন করা হয়, কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ লোকমান হোসাইন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, এ সময় তিনি বলেন সাংবাদিকতার অন্তরালে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত সাংবাদিক আব্দুর রউফ,
তার অপকর্ম ঢাকতে পিসিএনপির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।
পার্বত্য জেলার অসহায় পিছিয়ে পড়া নিরীহ, নিপীড়িত অধিকার বঞ্চিত মানুষের সাংবিধানিক অধিকার আদায়ে নিবেদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। শত বছর ধরে শান্তিও সম্প্রীতির মাধ্যমে এখানে ১২টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, বম, তঞ্চঙ্গা, মুরং, খুমী, লুসাই, খেয়াং, পাংখোয়া চাক এবং বাঙ্গালীদের বসবাস। এ যেন সম্প্রীতির এক নিবিড় মেলবন্ধন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাঝে ষড়যন্ত্রের বিষবাষ্প ছড়িয়ে বাঙ্গালীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টায় লিপ্ত একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল। অত্যন্ত দুঃখজনক এই যে, গত ০৬-১০-২০২৩ ইং তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এবং নাগরিক পরিষদের নের্তৃবৃন্দকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে মানবজমিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রউফ। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে ঘৃণা ভরে তা প্রত্যাখ্যান করছি।
বক্তব্যে বলা হয় গত ২৮-০৬-২০২৩ ইং তারিখে রশিক নগর এলাকা থেকে কোরবানির গরু দেখার কথা বলে কথিত সাংবাদিক আব্দুর রউফের ভাই রশিক নগর এলাকার এক ব্যবসায়ীকে চাকমা এলাকার এক গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকে আব্দুর রউফ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিরা। মোটর সাইকেল যাওয়ার সাথে সাথেই গাড়িতে থাকা অবস্থায় ঐ ব্যবসায়ীর হাত বেধে ফেলে আব্দুর রউফ ও তার সহযোগীরা এবং সাথে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে নেয়। এরপর হাত বাধা অবস্থায় তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটা পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে তার হাত-পা এবং মুখ বেধে ফেলে এবং মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। তারপর দেশিয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ৩টি লিখিত স্টাম্প ও ৩টি অলিখিত মোট ৬টি স্টাম্পে সাক্ষরের বিনিময়ে এবং এ ঘটনা কাউকে না বলার শর্তে তাকে মুক্তি দেয়। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে নাগরিক পরিষদ দীঘিনালা উপজেলা ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়ান। এরপর, পুলিশিং কমিটির উপজেলা সভাপতি ও আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম সাহেবের সহযোগীতায় জব্দকৃত স্টাম্প উদ্ধার করা হয় এবং তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবেনা মর্মে উপস্থিত সাক্ষীগণের সামনে মুচলেকা দেয়। সেখান থেকে নাগরিক পরিষদের পিছনে লাগে আব্দুর রউফ। এজন্য উদ্দেশ্যে প্রণীত ভাবে এই মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে সংগঠনের ও উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদ হাসান, ও সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলম হীরার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে এবং সংগঠনকে প্রশ্নবৃদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে। যার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ আবু তাহের, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা সদস্য সচিব এস এম মাসুম রানা, আহবায়ক কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম মাসুদ, নাগরিক পরিষদের নেতা এস এম হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ও আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের সকল সাংবাদিক ভাইদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন