খেলাধুলা ডেস্ক
বাংলাদেশ জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের দলপতি সাকিব আল হাসান। খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি যতটা আলোচিত, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ঠিক ততটাই সমালোচিত। বিতর্ক যেন ছায়ার মতো সবসময়ই লেগে থাকে তার পেছনে।
সাকিবের কাজকর্মে মাঝেমধ্যে মনে হয় কাউকেই যেন তোয়াক্কা করেন না তিনি। চলেন আপন গতিতে। আর সে কারণেই বিতর্কের শেষ নেই দেশের ক্রিকেটের এই পোস্টারবয়কে ঘিরে।বিশ্বকাপের আগে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে সাকিব এসেছিলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার রাফসানের সঙ্গে লাইভে। সেখানে প্রকাশ্যে এসেছে সাকিবের জীবনের বেশকিছু অজানা তথ্য।
রাফসান সাকিবকে প্রশ্ন করেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে পাগলাটে সময় কোনটি? জবাবে সাকিব বলেন, আমার জীবনে পাগলাটে সময় আছে দুটি। একবার স্ট্যাম্পে লাথি দিয়েছিলাম। আরেকবার মাঠ থেকে খেলোয়াড়দের চলে আসতে বলেছিলাম।
আম্পায়ারের সঙ্গে সাকিবের বনিবনা না হওয়াটা নতুন কিছু নয়। টাইগার দলপতির জীবনের পাগলাটে দুটো মুহূর্তই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করা। ২০২১ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ চলাকালে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে লাথি মেরে স্ট্যাম্প ভেঙ্গেছিলেন সাকিব। আর বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার এই ঘটনাটিকে নিজের জীবনের সবচেয়ে পাগলাটে মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ২০১৮ সালের নিদহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের সময় খেলা বয়কট করে সতীর্থদের মাঠ থেকে উঠে আসতে বলেছিলেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। সেই ঝামেলার সূত্রপাতটা হয়েছিল নো-বল থেকে। ইসুরু উদানার একটি ডেলিভারিকে প্রথমে নো-বল হিসেবে সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। পরে দুই ফিল্ড আম্পায়ার কথা বলে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন।
আর তাতে করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের ভেতর। আর সে সময় অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা সাকিব সীমানার বাইরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মাঠ ছেড়ে চলে আসতে বলেছিলেন।