মোঃ আজিজুল ইসলাম,
কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২৮ সেপ্টেম্বর মাদার অব হিউম্যানিটি গনতন্ত্রের মানসকন্যা মানবতার ফেরিওয়ালা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কর্তন- দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। মধুমতী নদীবিধৌত টুঙ্গিপাড়ার কৃতী সন্তান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা।
টানা তিন মেয়াদে সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে প্রথমবার ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে উন্নয়নের একটি রোল মডেল হিসাবে পরিচিত করেছেন তিনি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের দেশের মাটিতে আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রেফাজ উদ্দিন মাস্টারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজীর সঞ্চলনায় দোয়া ও আলোচনা সভায়,
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ ১ (কাজিপুর-সদর) আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়।
এসময় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে যেমন বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না, ঠিক তেমনি তার কন্যা শেখ হাসিনা জন্ম না হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হতো না। অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হতো না, গণতন্ত্র ফিরত না, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মান হতো না। শেখ হাসিনা বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মানেই দেশের উন্নয়ন, বঙ্গবন্ধুকন্যা এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বর্তমান সরকার। সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় সরকারি চাকরীজীবী ব্যতীত দেশের সকল নাগরিক পেনশন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা (স্কিম) চালু করা হয়েছে। আজকে প্রধানমন্ত্রীর গৃহায়ণ কর্মসূচি একটা যুগান্তকারী জনহিতকর কর্মসূচি। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশও বিনামূল্যে গৃহহীনদের ঘড় দেয় না। আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য শেখ হাসিনা সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন দক্ষ মানব সম্পদ হিসাবে তৈরি হতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, কাজিপুরের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি, আজ শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। যা দৃশ্যমান। এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও নৌকা মার্কায় বিপুল পরিমাণ ভোট দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিনে দীর্ঘায়ূ, সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ সেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।