বিশেষ প্রতিনিধি,
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসির)ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল কিশোরগঞ্জে উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বদরুল আলম অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নামে বেনামে গড়েছেন অঢেল সম্পদের পাহাড়।সম্প্রতি বদরুল আলমের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়ে তদন্তের দাবি জানান বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বিএডিসি'র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বদরুল আলম ক্ষমতার অপব্যবহার করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিতে নিজের শ্যালক ও বন্ধুকে রেখেছেন শুধু মাত্র নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য এবং নিজের পছন্দের প্রতিটি ঠিকাদার থেকে ১৮% থেকে ২০% পর্যন্ত অগ্রিম উৎকোচ নিয়ে থাকেন কাজের বিনিময়ে।আরও জানা যায় প্রকল্পে জনবল নিয়োগের সময় যোগ্যতার মাপকাঠি বাদ দিয়ে নিজের আত্মীয়-স্বজনদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।এমন কি পছন্দের লোকজনকে প্রকল্প প্রধান করতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।একটি সংস্কার প্রকল্প থেকে ৭০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে অন্য আরেকটি প্রকল্পের শেষ বছরে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ২ কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন বলে উক্ত অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।অভিযোগ সূত্র আরো জানা যায় বিএডিসির তিন কৌশলীকে জঙ্গিবাদের অর্থায়নের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি আওতায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পরবর্তীতে একজনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর তিনি নিজ অর্থায়নে আটককৃত ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে,ওই তিন প্রকৌশলীর জঙ্গিবাদে অর্থায়নের বিষয়টি মোহাম্মদপুর থানা ও মতিঝিল থানা পুলিশ অবগত রয়েছে।তার বিরুদ্ধে হুন্ডির মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতির টাকা বিদেশে অবস্থানরত স্ত্রীর বড় ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে ব্যবসায় লগ্নি করার অভিযোগ রয়েছে।গ্রামের বাড়ির কিশোরগঞ্জে রয়েছে ৭০/৮০ বিঘার উপরে জায়গা জমি নরসিংদি ও গাজীপুরে রয়েছে ৩০ বিঘা জমির উপরে রিসোর্স ব্যবসা।সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে থাকা অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য করার কোন বিধান আছে বলে আমার জানা নেই।সুত্র থেকে আরো জানা যায় যে জনৈক বদরুল আলমের রাজধানী ঢাকার আভিজাত এলাকা গুলশান নিকেতন মিরপুর ডিওএইচএস ও বেইলিরোডে রয়েছে কোটি টাকা মূল্যের কয়েকটি ফ্ল্যাট ও নামে বেনামে অঢেল সম্পত্তি রয়েছে।এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বদরুল আলম এর মুঠো ফোণে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন এই সকল কিছু আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে আমাদের অফিসের একটি চক্র।পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মহোদয়ের বরাবর লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন সাংবাদিক ভাই আপনি এক দিন আসেন বসে কথা বলি আমার সাথে কথা বললে ভালো লাগবে এই কথা বলে মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।পরবর্তীতে তার হোয়াটসআপ নাম্বারে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে সকল অনিয়ম দুর্নীতির লিখিত বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি whatsapp এর মাধ্যমে লিখিত আকারে এই প্রতিবেদককে জানান আপনার সাথে তো কথা হয়েছে।এক দিন আসেন কথা বলি।
(অনুসন্ধান অব্যাহত)