• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন

অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয়ের অন্তরালে অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা জমজমাট (পর্ব-৩)

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি,

 

অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয়ের অন্তরালে অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা জমজমাট শিরোনামে গত ২৬ জুলাই ২৩ইং ও ৭ই আগস্ট ২৩ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকা দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।প্রতিবেদন দুইটি প্রকাশিত হওয়ার পর গত ১৩ ই সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড সিবিএ সভাপতি নজরুল এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন কহিনুর চোকদার এর কোটি টাকা আত্মসাৎ এর সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার বিষয় আমি প্রথম শুনলান! যদি অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডে কহিনুর চোকদারের কোটি টাকা আত্মসাৎ এর সিংহভাগ টাকা সভাপতি ও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মীমাংসার নামে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন তা ওপেন সিক্রেট।অন্যদিকে প্রতিবেদন দুইটি প্রকাশিত হওয়ার পর কহিনুর চোকদার সহকর্মীদের বলে বেড়ান এইসব পত্রিকার সংবাদ প্রকাশিত করে আমার কিছুই করতে পারবে না কারণ আমার সকল সমস্যা অতীতের মতো সিবিএ সভাপতি নজরুল ভাই সমাধান করবেন তাই এই নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নয়।অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড সিবিএ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশি জনৈক আব্দুল হালিম এই প্রতিবেদককে মুঠো ফোণে জানান কহিনুর চৌকদার এর বিষয় নিয়ে আপনার সাথে ৩১শে জুলাই এর পর আপনাদের সাথে আলোচনা করবো এই বলে মুঠো ফোণ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।পরবর্তীতে কহিনুর চৌকদার এর কোটি টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডে কর্মরত জনৈক আতিক মুঠো ফোণে এই প্রতিবেদককে জানান কহিনুর চৌকদার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে তা সঠিক কিন্তু সেই টাকার সিংহভাগ নিয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড সিবিএ সভাপতি নজরুল সাহেব ও সাবেক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে পিআরএল থাকা)জয়নাল সাহেব সহ আরো অনেকেই।অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর প্রধান কার্যালয়ে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারকারী সিন্ডিকেটের এক সদস্য অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়ের জন্য এক কোটি টাকা নিয়ে আসে কিন্তু তখন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডে অডিট কার্যক্রম চলছিল অডিট চলাকালীন অবস্থায় অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করতে আসা ব্যক্তি ১ কোটি টাকা ব্যাংকের ভিতরের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন শাখার ক্যাশ কাউন্টারের ময়লা ছুঁড়িতে রেখে চলে যায় পরবর্তীতে সেই ১ কোটি টাকা অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর কেয়ারটেকার -১ কহিনুর চৌকদার আত্মসাৎ করেন।যদিও ব্যাংকের ভিতরে কোন টাকা পাওয়া যাওয়ার পরে সেই টাকার প্রকৃত দাবিদার খুঁজে পাওয়া না গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগার জমা দিতে হয়। কহিনুর চৌকদার এর কোটি টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়ে জনৈক জাফর জানায় আত্মসাতের টাকা মীমাংসার নামে সিংহভাগ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সিবিএ সভাপতি সহ অধিকাংশ নেতারা।বিষয়টি ভালোভাবে জানার জন্য বেশ কয়েকজন সিবিএ নেতার সাথে আলাপ করলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে তারা জোরালো ভাবে বক্তব্যে বলেন কহিনুর এর ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়টি ক্ষুদ্র এই নিয়ে টানা হেছড়া করে লাভ কি?এছাড়াও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করলে তারা এক কথায় প্রকাশ করেন ভাই টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে।সুত্র মতে জানা যায় অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের কেয়ারটেকার -১ কহিনুর চৌকদার এর রাজধানী ঢাকা ও গ্রামের বাড়িতে রয়েছে নামে বেনামে কোটি টাকার উপরে সম্পত্তি।এবং রাজধানী ঢাকায় রয়েছে কয়েকটি বাণিজ্যিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর সভাপতি তিনি ও তার স্ত্রী।সরকারি চাকরি অবস্থায় কোন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যবসা-বাণিজ্য করার কোন বিধান আছে বলে আমার জানা নেই।তার ব্যবসায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন আমাদের সভাপতি মহোদয় অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র কিন্তু তাহার চালচলন দেখলে মনে হয় তিনি উচ্চ শিক্ষায় ডিগ্রি প্রাপ্ত।এই সকল বিষয়ে জানতে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর কেয়ারটেকার -১ ও বর্তমান সিবিএ নির্বাচনে সহ-সভাপতি প্রার্থী কহিনুর চৌকদার এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন পরবর্তীতে একাধিকবার যোগাযোগ এর চেষ্টা করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।(অনুসন্ধান অব্যাহত)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ