সৌন্দর্য্য বর্ধন ও হাটার জন্য বাধের উপর নির্মাণ করা ওয়াকওয়ের রেলিং দখ করে আটকিয়ে সীমানা প্রাচীর তৈরি করেছে প্রভাবশালীরা। এতে কর মারাত্মক হুমকির মধ্যে রয়েছে মাদারীপুর হর রক্ষাবাঁধ। এছাড়া রেলিং ভেঙ্গে করা হয়েছে দোকান। রহস্যজনক কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।
মাদারীপুর জেলা শহর এক সময় আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে অস্তিত্ব হারাতে বসেছিল । মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮৭-৮৮ অর্থ বছরে শহরটি রক্ষা ও ভাঙন রোধে আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় ঘেষে শুরু হয়ে ৩ ধাপে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার শহর রক্ষা বাধ নির্মান করে। এই বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে খরচ হয় ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। পরবর্তীতে নদের পাড়ের সৌন্দর্য্য বর্ধন ও হাটাচলার জন্য বিআইডব্লিউটিএ বাঁধের উপর নির্মাণ করে দৃ্িট নন্দন ওয়াকওয়ে। এই বাধটি দখল করে ওয়াকওয়ের রেলিং আটকে একদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে অন্যদিকে রেলিং ভেঙে নির্মাণ করেছে দোকানপাট। এতে হুমকিতে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। একাধিকবার শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছিল ভাঙন। এতকিছুর পরও মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি খান মো. শহীদ বলেন,শহর বাঁচাতে শহর রক্ষা বাঁধের নিরাপত্তার স্বার্থে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামা করেন। একই অভিব্য্যক্তি প্রকাশ করেন জেলাার সিনিয়র সাংবাদিক, লোকসাংস্কৃতি ও ইতিহাস সন্ধানী লেখক সুবল বিশ^াস।
স্থানীয় দখলদারদের দাবী তারা তাদেও নিজের দখলীয় জমিতে সীমানা প্রাচীর ও স্থাপনা নির্মান করেছেন।
শহর রক্ষা বাঁধের জমির মালিক কে তাই জানেনা পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে বাঁধটি রক্ষায় স্থানীয় দখলদার ও জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার ধর্ণা দিচ্ছে মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তারা এমনটাই দাবি এই কর্মকর্তার।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সানাউল কাদের খান বলেন, শহর রক্ষা বাধের জমির মালিক কেতা জানা নাই। তবে বাধটি রক্ষায় স্থানীয় দখলদার ও জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার ধর্ণা দিয়েও কোন সুরাহা হয়নি।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, অতি দ্রুত শহর রক্ষা বাঁধ বা ওয়াকওয়ে দখলমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি ।