জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জনগণের ভোট ও ভাতে অধিকার ফিরিয়ে দিতে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা ও এক দফার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ এই সরকারকে আর কোন নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করতে দেবে না। আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব, এই চাওয়া পূরণের এখনই সময়।
শনিবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, কেয়ারটেকার ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে সরকার পরিবর্তনের একটা নিয়ম ছিল। সেটাকে নানা ষড়যন্ত্র করে বাদ দিয়ে এখন নিজেদের দলীয় পছন্দের লোক দিয়ে আওয়ামী সরকার আরও একটি পাতানো নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যার ফলে আজকে দেশে একটা অরাজকতা বিশৃঙ্খলা চলছে। গোটা জাতি আজ এক অন্ধকারের মধ্যে নিমজ্জিত। এ অবস্থা থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে হলে আমাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ার পরেও এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ইসলাম বিমুখ করে সাজানো হয়েছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে যে শিক্ষা কারিকুলাম চলছে সেখানে আল কুরআন শেখার জন্য নামমাত্র ব্যবস্থাও রাখা হয়নি। আবার ইসলামের সামান্য কিছু বিষয় পাঠ্য বইয়ে থাকলেও সেগুলো অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে মুছে দিয়ে নিজেদের মন গড়া গল্প যুক্ত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সহযোগী সদস্য সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম।
তিনি বলেন, আল্লাহর দ্বীনের কাজ, মানুষকে হেদায়াতের পথে নিয়ে আসার এ কাজ আঞ্জাম দিতে আমাদেরকে অত্যন্ত কঠিন সবরের পরীক্ষায় পাস করতে হবে। এটা যেনতেন ভাবে করা যায় না। হৃদয়ে ভালোবাসা ও ইখলাসের সঙ্গে এ কাজ করে যেতে হবে।
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এ দেশের সবচেয়ে সু-সংগঠিত ও সু-শৃঙ্খল সংগঠন হিসেবে সর্বমহলে প্রশংসিত। সহযোগী হিসেবে আমাদের সকলকে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ধৈর্য এবং সহনশীলতার মাধ্যমে আমাদের ময়দানে থাকতে হবে। সবর করার বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআনে অনেক বার তাগাদা দিয়েছেন। সেই আল্লাহর ঘোষণা যারা ধৈর্য ধারণ করবে তারা ইহকাল ও পরকাল উভয় স্থানে সফলতা অর্জন করবে। মনে রাখতে হবে যেকোনো আন্দোলনের জন্যই অনেকগুলো পথ অতিক্রম করে যেতে হয়। সুতরাং ধৈর্যচ্যুত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির যথাক্রমে আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেন, কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু ফাহিম প্রমুখ।