সচরাচর দেখা যায় পার্বত্য জেলায় উপজেলা চেয়ারম্যানরা যখন চেয়ারম্যান হয় তখন তাদের চরিত্রের ব্যতিক্রম কিছু ফুটে ওঠে এর,মধ্যে নমনীয় ভদ্রতা অনেক কমে যায়, সেজন্য দেখা যায় তার উল্টোটা হলো গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান মেমং মারমা। উনি প্রতিদিন সকাল ৯ টায় উপজেলা কক্ষে এসে বসে থাকেন এবং সবার খোঁজখবর নেন। অন্যদিকে এলাকার মানুষকে নিয়ে চায়ের আড্ডায় মেতে থাকেন তাদেরকে কৌশল বিনিময় করেন ।
সরেজমিনে এই প্রতিবেদক তার এই কর্মকাণ্ড দেখে চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেন, আমাকে জনগণ এই চেয়ারে বসিয়েছে তাদেও (জনগণের) সেবার জন্য। আমি সেবক হয়ে যদি বারোটা অথবা এগারোয়টায় অফিসে আসি তাহলে জনগণের সেবা দিব কিভাবে? তাহলে তো জনগণ আমার থেকে কিছু আশা করতে পারে না । আমিতো নির্বাচনের সময় তাদেরকে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম জনগণের সুখ দুঃখে আমি পাশে থাকব। তাই আমার ওয়াদা আমি রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলে নিজের মন-মানসিকতা ফ্রেশ থাকে এবং অফিসিয়াল কাজগুলো দ্রুত গতিতে শেষ করা সম্ভব। তার সাথে এলাকার জনগণের সুখ-দুঃখের খোঁজখবর নেওয়া যায়, আমি যখন সকাল ৯ টায় অফিসে আসি তখনো আমার অফিসের সামনে আমার আগে এসে দুই একজন বসে থাকতে দেখা যায়।
এতে করে আমি চিন্তা করেছি আরেকটু সকাল অফিস করা যায় কিনা তাই আমি অফিসে আসার আগে আগে ৯ টার ভিতরে আমার উপজেলার প্রত্যেকটা অফিসার উপজেলা কক্ষে হাজির থাকেন । আমি ঠিক থাকলে পুরা উপজেলাটা ডিজিটালে রূপান্তর করা যাবে আর আমি ঠিক না থাকলে ডিজিটাল করার তো দূরের কথা এনালগও চালানো যাবে না। তাই আমি জনগণের সেবক, আল্লাহ যেন আমাকে যতদিন বাঁচিয়ে রাখে আমি যেন জনগণের সেবা করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের গুইমারা উপজেলা নতুন ,তবে সরকারের নির্বাচনে যে অঙ্গীকার করেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়ন করার জন্য দ্রুত গতিতে উপজেলা ভবনের কাজ চলছে। স্বল্প সময়ে এ কাজ শেষ হবে বলে আশা রাখি ।
অন্যদিকে দেখা যায় সকাল আটটা থেকে ৩০ কেজি চাউল দেওয়া চলছে এ ব্যাপারে ডিলার কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান মেমং মারমা যদি ৯ টায় আসতে পারেন তাহলে আমরা ৮টায় পারবো না কেন? আটটা থেকে চাল দেওয়া শুরু করলে যেহেতু পাহাড়ি জনগোষ্ঠী অনেক দূর দূরান্ত থেকে আসেন তারা এখান থেকে ১৫ টাকা দরে চাউল নিয়ে ভাত রান্না করে খাবে, তাই যত দ্রুত তাদেরকে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছানো যাবে তত বেশি সুবিধা পাবে ।