খেলাধুলা প্রতিবেদক
আসন্ন বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের দলে এবাদত হোসেনের থাকা অনেকটাই নিশ্চিত ছিলো। এরপর তাকে রেখেই এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যদিও পরবর্তীতে অনুশীলনেই চোটে পড়েন এবাদত। যা তাকে এশিয়ান টুর্নামেন্টটি থেকে ছিটকে দিয়েছে। টাইগার এই পেসারকে এশিয়া কাপে না পাওয়া বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আজ (শনিবার) সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে টাইগার কোচ হাথুরু বলছিলেন, ‘আপনারা জানেন এবাদত আমাদের ইমপ্যাক্টফুল বোলারদের একজন। আমাদের পাঁচজন ফাস্ট বোলারের মধ্যে যারা শেষ কয়েকটি সিরিজে খেলেছে, তাদের মধ্যে সে দ্রুতগতির বোলারও। তাই এটা আমাদের জন্য বড় ক্ষতি এবং তার বিকল্প বের করা আমাদের জন্য কঠিন কাজ। আশা করছি সে দ্রুত সেরে উঠবে।’
এবাদতের না থাকাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন সাকিব। এবাদত ছাড়াও বোলিং আক্রমণে আরও কয়েকজনের চোট সমস্যা রয়েছে। তবে এ নিয়ে চিন্তিত নন টাইগার অধিনায়ক। সাকিবের ভাষ্য, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবাদত আমাদের সঙ্গে যেতে পারছে না। সে আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সে জায়গা থেকে এটা আমাদের জন্য একটা ধাক্কা। তারপরও সে ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি এবং যে ধরনের স্কোয়াড আছে আমরা আশাকরি অনেকদূর যেতে পারবো।’
এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এবাদতকে বিদেশে পাঠানোর চিন্তা রয়েছে বিসিবির। প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরি বলছিলেন, ‘এ ব্যাপারে একটা পরিকল্পনা আছে। তবে পাঠাব বললেই তো আর পাঠানো যায় না। প্রস্তুতির একটা ব্যাপার আছে অ্যাপয়েনমেন্ট থেকে শুরু করে অন্যান্য যা আছে। আমরা ইংল্যান্ডে ডাক্তারের কাছে আবেদন করে রেখেছি। কিন্তু তাকে (এবাদত) পাঠাবো কিনা এখনও নিশ্চিত নই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটার প্রক্রিয়া চলছে, তবে আমরা প্রস্তুত থাকছি। দরকার হলে যেন যেতে পারে। কিন্তু সে যাবে সেটা এখনও আমরা সিদ্ধান্ত নিইনি। এটা ধরেন এই সপ্তাহের মধ্যেই ক্লিয়ার হয়ে যাবে কি করব না করব। যদি যায় তার সঙ্গে কেউ না কেউ তো যাবে।’