নিজস্ব প্রতিবেদক
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ (একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়) প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত ও তৎসংলগ্ন হোটেল-মোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিভিন্ন আইটেম পর্যায়ক্রমে বন্ধের বিষয়ে কার্যক্রম চলমান।
আজ (বৃহস্পতিবার) প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ‘ভার্জিন ম্যাটেরিয়াল’ ব্যবহার হ্রাস করা, ২০২৬ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃচক্রায়ন নিশ্চিত করা, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সকলে একসাথে কাজ করলে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সফল হওয়া যাবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সরকার প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘মাল্টিসেক্টোরাল একশন প্লান ফর সাসটেইন্যাবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করছে। অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, পরিবহন, বিক্রয়, মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সাথে সাথে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, এনজিও, প্রাইভেট সেক্টর, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম।