০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে সেনা অভিযানে সোহেল হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট: ০২:২২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • / ৭৪

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
পার্বত্য চট্টগ্রামের সিন্দুকছড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক বিশেষ অভিযানে সোহেল (১৬) অপহরণ ও হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও ইউপিডিএফ (মূল) দলের পোস্ট কমান্ডার মংসানু মারমা (৩৫)-কে তার সহযোগীদেরসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ৪ জুলাই রাতে মানিকছড়ি উপজেলার ছদুরখীল ঘোরখানা এলাকা থেকে নিজ দোকান থেকে ফেরার পথে কিশোর মোঃ সোহেল ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীদের দ্বারা অপহৃত হয়। এ ঘটনার পরপরই সিন্দুকছড়ি জোন ব্যাপক গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে।

১০ জুলাই তিনঘরিয়াপাড়া এলাকা থেকে সেনাবাহিনী তিনজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মংসানু মারমা।

১৭ জুলাই বিকেলে মানিকছড়ির বুদংপাড়া এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অপহৃত সোহেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হয়। একইদিন সেনাবাহিনী অভিযানে আদি কুমার ত্রিপুরাকে আটক করে।

পরে ১৮ জুলাই সেনাবাহিনী মংসানু মারমাকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাবু মারমাকে রামগড় বিজিবির সহায়তায় আটক করা হয়। এখন পর্যন্ত এ মামলার মোট ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, মংসানু মারমা পূর্বে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়ে ২৩ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পায় এবং পরে পুনরায় এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। সেনাবাহিনী জানায়, শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

খাগড়াছড়িতে সেনা অভিযানে সোহেল হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেফতার

আপডেট: ০২:২২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
পার্বত্য চট্টগ্রামের সিন্দুকছড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক বিশেষ অভিযানে সোহেল (১৬) অপহরণ ও হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও ইউপিডিএফ (মূল) দলের পোস্ট কমান্ডার মংসানু মারমা (৩৫)-কে তার সহযোগীদেরসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ৪ জুলাই রাতে মানিকছড়ি উপজেলার ছদুরখীল ঘোরখানা এলাকা থেকে নিজ দোকান থেকে ফেরার পথে কিশোর মোঃ সোহেল ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীদের দ্বারা অপহৃত হয়। এ ঘটনার পরপরই সিন্দুকছড়ি জোন ব্যাপক গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে।

১০ জুলাই তিনঘরিয়াপাড়া এলাকা থেকে সেনাবাহিনী তিনজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মংসানু মারমা।

১৭ জুলাই বিকেলে মানিকছড়ির বুদংপাড়া এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অপহৃত সোহেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হয়। একইদিন সেনাবাহিনী অভিযানে আদি কুমার ত্রিপুরাকে আটক করে।

পরে ১৮ জুলাই সেনাবাহিনী মংসানু মারমাকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাবু মারমাকে রামগড় বিজিবির সহায়তায় আটক করা হয়। এখন পর্যন্ত এ মামলার মোট ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, মংসানু মারমা পূর্বে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়ে ২৩ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পায় এবং পরে পুনরায় এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। সেনাবাহিনী জানায়, শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।