বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জুড়ে যখন পরিবেশ বিধ্বংসী তামাকে চেয়ে গেছে। এমন সময় উপজেলার অনেক জায়গায় শোভা পাচ্ছে মৌসুমি ভুট্রা চাষ। এতে সফলতার মুখ দেখছেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে নাইক্ষ্যংছড়ির বিস্তৃর্ণ অনাবাদী জমি এবার চাষের আওতায় এনেছে কৃষকরা। তবে চাষাবাদে বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে এক প্রকার শংকা প্রকাশ করেন কৃষকরা। ন্যায্য দাম না পেলে খরচ পুষিয়ে লাভের মুখ দেখতে আরো বেশ সপ্তাহ দু’য়েক অপেক্ষা করতে হবে এমনটাই বলেছেন চাষিরা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেশ কিছু ভুট্টা চাষ হয়েছে। অন্যান্য মৌসুমের চেয়ে এবারের ভুট্রা চাষের বাম্পার ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা জানান, বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম বাড়তি, পাশাপাশি শ্রমিকের পারিশ্রমিকও বেশী তারপরেও, আশানুরুপ ফলন হওয়ায় তাদের মুখে হাসির ঝিলিক। ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকার ভুট্রা চাষী ফরিদুল আলম এই প্রতিবেদককে বলেন,আমি দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় ধরে কৃষিকাজ করে আসছি, তবে এইবারে অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা চাষ ভালো হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের আব্দুর রশিদ, আশারতলী হাসমত, কালু সহ অনেক কৃষক বলেন, সরকারী অনুদান ও কৃষি বিভাগের সহায়তা পেলে এই কৃষি কে তারা শিল্পে পরিনত করতে পারবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির তুমব্রু উত্তর পাড়া এলাকার মোঃ ইলিয়াছ, বলেন, আমি ২ বছর যাবৎ এই ভুট্রা চাষ করে আসছি। ৩০ শতক জায়গার উপর আমার এই চাষে ইনশাআল্লাহ লাভের আশা করছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভুট্রা চাষ করে আসলেও বিগত ২ বছর পর্যন্ত সরকারী কোন অনুদান তিনি পান নাই। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ—সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (ব্লক সুপারভাইজার) মহিবুল ইসলাম রাজিব বলেন, পুরো উপজেলায় ৮৫ হেক্টর জমিতে ভুট্রা চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রায় ৬০জন ভুট্রা চাষীকে বিনামুল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কীটনাশকও দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, আমিও আমার উপ—সহকারীরা সবসময় মাটে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। আর সরকারের দেওয়া কৃষি উপকরণ গুলোও কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এতে কৃষকরা অনেক লাভবান হয়।