বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরে বাগান ঘোনা ও পূর্ব বিছামারা এলাকায় প্রকাশ্যে একাধিক পাহাড় কাটা হচ্ছে। এই পাহাড়গুলো সরকারি খাস। গত এক মাস ধরে এই পাহাড়গুলো কাটা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থাই না নেওয়ায় দিন রাত সমান তালে কাটছে পাহাড়। অভিযোগ রয়েছে খোদ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া পাহাড়কাটাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে ফিরে এসেছেন।
মঙ্গলবার ১২ মার্চ বিকেলে সরেজমিনে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের পূর্ব বিছামারা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় বিশাল কয়েকটি সরকারি খাস পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। পাহাড়টি কেটেছে স্থানীয় আমির আলির ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন। জাহিদ হোসেন আওয়ামী লীগে নেতা দাবি করে বলেন, ‘বাড়ি তৈরীর উদ্দেশ্যে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে। নাইক্ষ্যংছড়ির বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া স্যার রাতে এসে দেখে গেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের কোম্পানি আমাকে ইউএনও স্যারের সঙ্গে ট্যাগ করে দিয়েছে। মাটিগুলো আবু তাহের কোম্পানি নিয়ে গেছেন ইটভাটায়।’
আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদ হোসেনের পাশাপাশি পূর্ব বিছামারা ক্যালা মাছনের ঘোনায় পাহাড় কাটছে আবদুর রহমান, মোহাম্মদ ইকবাল, অলি উল্লাহসহ অনেকে। এসব মাটি ইটভাটার পাশাপাশি যাচ্ছেন ধানিজমি ভরাটের মতো কর্মকান্ডে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন কাজে পাহাড়-টিলা কাটা বা অন্য কোনো উপায়ে ভূমিরূপ পরিবর্তন করা যাবে না। অথচ নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে কাটা হচ্ছে সরকারি খাস পাহাড়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়াকে একাধিক বার ফোন করে ও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।