মিজানুর রহমান :: ঢাকার বেইলি রোডে রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে অভিযান শুরু করছে ফায়ার সার্ভিস। আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পরিদর্শন করবেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
জানা যায় সপ্তাহব্যাপী অভিযানে আবাসিকে রেস্টুরেন্ট চালুর অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি-না, যে ভবনে রেস্টুরেন্ট চালু করা হয়েছে সেখানের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন, ভবনে ফায়ার এক্সিট পয়েন্ট আছে কি-না এবং সিলিন্ডার সুরক্ষিত অবস্থায় রাখা হয়েছে কি-না, এসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। সোমবার (৪ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া অভিযানে অগ্নিঝুঁকিতে থাকা হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো খুঁজে বের করা হবে।
ফায়ার স্টেশন অফিসারেরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় অভিযানে নেতৃত্ব দিবেন। এই অভিযানে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম দপ্তরের সহকারী পরিচালক এমডি আবদুল মালেক বলেন, তালিকা তৈরির পাশাপাশি কোথায় কি সমস্যা তা আমরা প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরবো।
চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ ভবনেই নেই অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা। নেই জরুরি নির্গমন সিঁড়ি, ফায়ার লিফট এবং ফায়ার কমান্ড স্টেশন। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, ভবন নির্মাণের আগে তাদের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র নিয়েছে চট্টগ্রামের শতকরা মাত্র সাত ভাগ ভবন মালিক। আবার অনাপত্তিপত্রের সব শর্ত পূরণ করে চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়ে নির্মিত হয়েছে মাত্র তিন ভাগ ভবন।
কয়েক বছর আগে চকভিউ সুপার মার্কেট, কেয়ারি শপিংমল, গুলজার মার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজার, জহুর হকার মার্কেট, টেরিবাজার, তামাকুমন্ডি লেইন, কর্ণফুলী মার্কেটসহ চট্টগ্রামের ৪৩টি বাজার, মার্কেট-বিপণিবিতানকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগীয় দপ্তরের উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন, আমরা পরিদর্শন করে ত্রুটি খুঁজে পেলে তা শোধরাতে সময় দেবো। এর মধ্যে না শোধরালে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হবে। এরপরও সংশোধন না হলে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।