• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী দুর্নীতিবাজ বিল্লাল এখনো বহাল তবিয়তে (পর্ব-৩)

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

৮ ই অক্টোবর -২৩ইং ও ৩১শে অক্টোবর-২৩ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার প্রথম পাতায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী বিল্লালের অনিয়ম দুর্নীতি দেখার কেউ নাই শিরোনামে দুইটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিল্লাল পুলিশ সাংবাদিক সিবিএ নেতা দিয়ে এই প্রতিবেদককে নানাভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছেন।একজন দুর্নীতিবাজের অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত করার পরেও এখনো বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন।বিল্লালের এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় নিয়ে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে আলাপকালে তারা বলেন বিল্লাল প্রকাশ্য বলে বেড়ান টাকা আছে যেখানে আইন সেখানে কিছুই করতে পারে না সুতরাং আমার কাছে টাকা আছে আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না।প্রশ্ন জাগে দুর্নীতিবাজ বিল্লালের হাতের চেয়েও লম্বা? গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সরকারি মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের উত্তরা শাখার চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী বিল্লাল হোসেনের অনিয়ম ও দুর্নীতি চলমান।আর এই অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নামে বেনাম গড়ে তুলেছেন অডেল সম্পদ।রাজধানীর আভিজাত্য এলাকা নিকুঞ্জসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তুলেছেন সু-বিশাল বেশ কয়েকটি আলিশান ভবন।

 

অনুসন্ধানে জানা যায় বিল্লালের বাবা দারোয়ানের চাকরি করতেন বাবার তেমন কোনো সম্পদ ছিল না কিন্তু বিল্লাল সোনালী ব্যাংকে চতুর্থ শ্রেণীর চাকরি পাওয়ার পরে যেনো হাতে পেয়ে যান আলাদিনের চেরাগ।অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বর্তমানে শত কোটি টাকার উপরে মালিক।অনুসন্ধানে তার কয়েকটি বাড়ির খোঁজ পাওয়া যায়,রাজধানী ঢাকার আভিজাত্য খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকায় পাঁচ তলা চারটি কমপ্লিট আলিশান ভবন ও অন্য আরেকটি বাড়ির কাজ চলমান।এছাড়াও কাওলাতে একটি ও লেকসিটিতে রয়েছে দুটি বাড়ী এক একটি বাড়ির বর্তমান বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা।রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় দানবীর বিল্লাল সাহেবের কথা বলছেন? আমদের এলাকায় এক নামে সবাই তাকে দানবীর বিল্লাল সাহেব নামেই চিনি উনি সোনালী ব্যাংকে চাকরি করে।

এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে বিল্লাল হোসেন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলো তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন সাংবাদিক ভাই আমার এই সকল সম্পদের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত করে আপনাদের কি লাভ হবে? কারণ আমাদের দেশে টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে! আমার টাকা আছে আর আমি নিচ থেকে উপর মহল পর্যন্ত সবাইকে ম্যানেজ করেই চলি তাই বলছি আপনাদের কি লাগবে বলেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি নিজেও একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সাংবাদিকতা করি,যদিও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করার কোন বিধি বিধান আছে বলে আমার জানা নেই। পরবর্তীতে এই প্রতিবেদকের মুঠোফোনে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ফোন করে বলেন বিল্লাল হোসেনের অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ যেনো প্রকাশিত না করা হয় সংবাদ প্রকাশিত করে বিল্লাল হোসেনের কিছুই করা যাবে না কারণ তার হাত অনেক লম্বা।এখন প্রশ্ন জাগে দুর্নীতিবাজদের হাত কি আইনের হাতের চেয়েও লম্বা? ফোন করা সেই সকল ব্যক্তিদের মধ্যে ব্যাংকার সিবিএ নেতা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিক রয়েছেন।
(অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী পর্বে)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ