• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন

“ভোক্তা ও উৎপাদনকারী বান্ধব পোল্ট্রি সরবরাহ ব্যবস্থা চাই”

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মাসুদ রানা জীবন ,

 

ডিমের মত একটি পুষ্টি গুন সম্পন্ন নিত্য পন্যের স্থিতিশীল বাজার গড়ে তুলতে সরকারি ও পোল্ট্রি শিল্প সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে যা এই মুহুর্তে সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা।
বাংলাদেশের পোল্ট্রির প্রান্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে -কোভিডের কারনে ও পরবর্তীতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে সবচেয়ে বিপদে আছে বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাত( উল্ল্যেখযোগ্য পরিমান প্রান্তিক খামারি ইতিমধ্যে হারিয়ে গেছেন)
সামগ্রিকভাবে আমরা প্রান্তিক উৎপাদন ও শেষে খুচরা ক্রেতাকেই দেখি, যা পত্র পত্রিকা ও নিউজ চ্যানেলের কল্যানে আমাদের দৃষ্টিতে আসে।কিন্তু পোল্ট্রি উৎপাদন ব্যবস্থা এক বিশাল শৃঙ্খলের মাধ্যমে উৎপাদন সিস্টেম পরিচালিত হয়।উৎপাদন পর্যায়ে আছে ডিলার প্রথা এবং বিক্রি পর্যায়ে আছে পাইকারি প্রথা। এই দুই ব্যবস্থা বাংলাদেশের পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির ৩০ বছরের অগ্রযাত্রায় মুল চালকের ভুমিকায় আছে (এ দুজায়গা না ছুয়ে পোল্ট্রি শিল্প হাঁটে না)মিডিয়ার উচিৎ উৎপাদন প্রক্রিয়ার খোঁজ খবরের পাশাপাশি এই দুই জাগায় সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানা।এই দুই প্রথাকে নির্দিষ্ট ফ্রেমে আনাও জরুরি ( তাদের লাভের বিষয়টি কত হবে) বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ভোক্তার অস্বস্তি যেমন বাড়ছে তেমনি উৎপাদন পর্যায়েও অনিশ্চয়তা বাড়ছে।
দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ডিম ও মুরগির বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা ও খামারিদের স্বার্থে কিছু প্রস্তাবনা :
প্রস্তাবনা – ১
২০১০ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আদেশে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন মুলে পূর্বে গঠন করা ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ কমিটি কে সক্রিয় করতে হবে।
কমিটি প্রতিমাসে দুইবার মিটিং করে প্রান্তিক উৎপাদনকারীদের গড় উৎপাদন খরচের সাথে বিক্রয় মূল্যের সমন্বয় করে ডিম ও মুরগির দামের পুর্ব ধারনা প্রদান করবে (প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর)
( কোন খামারির উৎপাদন খরচ বেশি আবার কোন খামারির উৎপাদন খরচ কম।এটা নির্ভর করে খামারিদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, প্রযুক্তির ব্যবহার, দামাদামি করে নগদে ক্রয় করার সামর্থ, বাল্ক/বেশি পরিমানে ক্রয় করলে কম দামে বাচ্চা খাদ্য ভিটামিনসহ প্রয়োজনীয় পন্যগুলো পাওয়া যায়, সমন্বিত উৎপাদন ব্যবস্থা, এর বাইরে থাকে রোগব্যাধি ব্যবস্থাপনা, কাংখিত উৎপাদন পাওয়া ইত্যাদি বিষয়ের উপর)
প্রস্তাবনা-২
“জাতীয় পোল্ট্রি বোর্ড” গঠন করতে হবে
(ডিম মুরগির উৎপাদন ও বিপনন ব্যবস্থায় বর্তমানে সমন্বয়হীনতা চলছে, এতে সময়োপযোগী সঠিক ও কার্য্যকর সিধান্ত আসছে না, যার জন্য ডিম মুরগির বাজারের সংকট/অস্থিতিশীলতা দীর্ঘায়িত হচ্ছে, দরকার সরকারের পক্ষ থেকে উৎপাদনকারীদের নিয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ)
জাতীয় পোল্ট্রি বোর্ড —
ক) নীতি নির্ধারন করবে, ডিম ও মুরগির মাংসের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চাহিদার সাথে যোগান অব্যাহত রেখে, দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য উৎপাদন তদারকি ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয়ে সরকার এবং উৎপাদনকারীদের/উদ্যোক্তাদেরকে দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দিবে।
খ) স্থিতিশীল ডিম ও মুরগির বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে স্বল্প, মাধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদি কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে তদারকি করবে।
গ) বোর্ডের সদস্যরা হবেন পোল্ট্রি শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ( প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়, প্রাণিসম্পদ, কৃষি , পরিকল্পনা, অর্থ, বানিজ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক, এফ বি সি সি আই , এন বি আর, ভোক্তা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদফতর, প্রতিযোগিতা কমিশন,নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, দুটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের ১ জন করে প্রফেসর, জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি / সম্পাদক ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অন্যান্ন অংশিজনেরা)
ঘ) পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট বানিজ্য মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধিত সকল সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক
ঘ) জাতীয় পোল্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন সচিব পদমর্যাদার ব্যক্তি যিনি এই বোর্ডের নেতৃত্ব দিতে দক্ষ ও অভিজ্ঞ এবং সক্ষম।
সদস্য সচিব থাকবেন পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির একজন উদ্যোক্তা (অথবা সরকারের সিধান্ত অনুসারে) প্রস্তাবনা-৩ পোল্ট্রি পন্যের ফরোয়ার্ড সাপ্লাই চেইনের ( ব্রয়লার বা লেয়ার ফার্ম থেকে খুচরা ক্রেতার হাতে পৌঁছা পর্যন্ত) দক্ষতা উন্নয়নে গঠিত কমিটি অথবা সাপ্লাই চেইন কনসাল্টিং/পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সার্ভে করে দুর্বলতা চিহ্নিত করতে হবে। যা মধ্যসত্বভোগীর দ্বারা বাজার নিয়ন্ত্রনের সুযোগ কে নিয়ন্ত্রণে রাখবে,খামারিরা প্রকৃত লাভজনক বিক্রয়মূল্য পাবেন, ভোক্তাও প্রতিযোগিতামুলক দামে ডিম মুরগী ক্রয় করতে পারবেন।
ডিম মুরগী বেচা বিক্রির মুল হাব গুলোকে (জেলা বিভাগ রাজধানী) নিয়মিত নজরদারিতে রাখতে হবে যেন যোগানের ঘটাতিতে বা ইচ্ছাকৃত ভাবে সাপ্লাই চেইন কে নেরো/সংকুচিত করে দিতে বা সাপ্লাইকে স্লো করে দিতে না পারে।
হঠাৎ কয়েকদিন বা সপ্তাহের সুনির্দিষ্ট দিন বা বিশেষ পালা পার্বণে (বিশেষ করে সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) সাপ্লাই চেইন নেরো/চেপে দেওয়া বা স্লো করাতে ভোক্তা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হয় আর পরের দিন খামারি কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
(খামারি মনে করে বাজারে চাহিদা নাই, যে দাম বলে সে দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়।)
বাংলাদেশে নরমাল বাজার ব্যবস্থায় ব্রয়লার খামারিদের বিক্রিত মুল্যের চেয়ে ২৫-৩০ টাকা খুচরা পর্যায়ে দাম বেশি থাকে। প্রস্তাবনা -৪
দেশে পোল্ট্রি শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজে অতিরিক্ত বাচ্চা উৎপাদন কে নিরুৎসাহিত করতে হবে, তারজন্য প্রকৃত চাহিদা নিরুপন করে নতুন ব্রিডার ফার্ম ও জিপি ফার্ম প্রতিষ্ঠার অনুমতি প্রদান এবং উৎপাদন নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রয়োজনের / চাহিদার অধিক ব্রিডার ফার্ম আছে,যার কারনে অতিরিক্ত উৎপাদনের কারনে বাচ্চার লাভজনক দাম না পেয়ে কিছু ব্রিডার ফার্ম বন্ধ হয়, কিছু ব্রিডার ফার্ম উৎপাদন কমিয়ে দেয়,এতে সাপ্লাই চেইন ব্যহত হয়(অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়) এমন পরিস্থিতিতে যখন উৎপাদন কমে যায় তখন হঠাৎ বাচ্চার দাম অনেক বেড়ে যায়। আবার বাচ্চা বেশি উৎপাদন হলে চাহিদার অতিরিক্ত মুরগীও উৎপাদন হয় ফলে প্রান্তিক খামারি লোকসান দেয় এবং তারাও খামার বন্ধ করে দেয়-
এতে করে পোল্ট্রি পন্যের স্থিতিশীল ও দক্ষ বাজার ব্যবস্থা গড়ে উঠছে না।
চাহিদার অতিরিক্ত উৎপাদনে হ্যাচিং ডিম ও বাচ্চা উৎপাদনকারী উৎপাদন খরচ থেকে কমদামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়, এই অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে ব্রিডার(পি এস) খামার বন্ধ হয়, হ্যাচারি বন্ধ হয়, ফিড মিলের বিক্রি কমে যায়, এক সময় ফিড মিলও বন্ধ হয়ে যায়,যা বর্তমান সংকটের একটি অন্যতম কারন।
ফরোয়ার্ড সাপ্লাই সিস্টেম উন্নত করার ক্ষেত্রে লেয়ার ও ব্রয়লার ফার্মের খামারিদের দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নে পার্শ্ববর্তী দেশের অভিজ্ঞতাকে সরকার কাজে লাগাতে পারেন। ভারত ডিম রপ্তানি করে, মধ্যপ্রাচ্যে হ্যাচিং ডিম ও টেবল এগ এবং মালয়েশিয়াসহ অন্যান্ন দেশে টেবল এগ রপ্তানি করে।বাংলাদেশের ব্যাকওয়ার্ড লিংকে বিশ্বমানের প্রযুক্তি নির্ভর ফার্ম, ফিড মিল ও হ্যাচিং ডিমের উৎপাদন ব্যবস্থা আছে।
আমাদের “ব্র‍্যান্ড বাংলাদেশ” কে মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে পরিচিত করতে পারলে হ্যাচিং ডিম, টেবল এগ এবং পোল্ট্রি খাদ্য রপ্তানি করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে টার্গেট দেশে আমাদের বৈদেশিক মিশনের মাধ্যমে উদ্যোগ নিতে হবে। পোল্ট্রি পন্যের আমদানিকারক দেশের চাহিদা মোতাবেক সার্টিফিকেশন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ও ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিটিক্সে আমাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
এই লিংকটি স্ট্যাডি করুন বিস্তারিত জানতে পারবেন
(ভারতে কি ভাবে খামারিদের প্রনোদনা দেয় )
প্রস্তাবনা – ৫
“ফার্মের ডিম এবং ব্রয়লার মুরগী নিয়ে গুজবের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে”
গুজবে প্রান্তিক উৎপাদনকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয় উৎপাদন শৃঙ্খল ভেঙে পড়ে।উল্লেক্ষ্য যে পোল্ট্রি খামারি নিজের জন্য নয় ভোক্তার জন্য উৎপাদন করে, ভোক্তার যেমন প্রকৃত নায্য মুল্যে ডিম মুরগী প্রাপ্তির অধিকার আছে, তেমনি খামারিরাও যৌক্তিক লাভজনক বিক্রয়মূল্য প্রাপ্তি আশাকরে। “বর্তমান অস্থিতিশীল অবস্থায় ডিম মুরগির উৎপাদনের প্রান্তিক পর্যায়ে ভর্তুকি দিয়ে, প্রান্তিক খামারিদের জন্য সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে হবে”একটি কল্যানকামী রাস্ট্রে এমনভাবে ভোক্তা ও উৎপাদনকারীর স্বার্থের কথা বিবেচনা করা হয়, যা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং রপ্তানি সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।পোল্ট্রি খাদ্য উপাদান, ভ্যাক্সিন মেডিসিনের প্রায় ৯০% আমদানি নির্ভর,বর্তমানে ডিম মুরগির বাজারের সংকটের সূত্রপাত এখান থেকে, কোভিড ও কোভিড পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যবস্থায় ঘাটতি থাকা, জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়া, উচ্চ ডলার মূল্যের কারনে কাঁচামাল আমদানি করতে না পারার জন্য পোল্ট্রি খাদ্যের দাম ধাপে ধাপে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে, প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিদের উৎপাদন খরচ থেকে বিক্রয় মুল্য কম থাকার কারনে বিগত ৯/১০ মাসে দেশের প্রান্তিক ব্রয়লার খামার বন্ধ হয়েছে প্রায় ৩৮-৪০%.ব্রিডার ফার্মগুলো উৎপাদন খরচ থেকে অনেক কম দামে বাচ্চা বিক্রি করে ক্রমাগত লোকসান থেকে বাঁচতে অনেকে ব্রিডার মুরগী বিক্রি করে দিয়েছেন। যা ব্রয়লার মুরগী ও বাচ্চার দাম বৃদ্ধির আরেক একটি কারন।
প্রস্তাবনা-৬
দেশের পোল্ট্রি শিল্পের সুরক্ষার জন্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যবস্থাকে সুরক্ষা দিতে,সরকারের তরফ থেকে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে।
অন্যথায় দেশীয় উৎপাদনকারী হারিয়ে যাবে এবং ডিম, মুরগির মাংসের সরবরাহ ব্যবস্থা আমদানি নির্ভর হয়ে যাবে। বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলতে থাকলে পোল্ট্রি শিল্প খাতের দেশের জি ডি পি’তে অবদান কমবে, কর্মসংস্থান কমবে, গ্রামীণ আর্থিক প্রবাহ সংকুচিত হবে-
বাংলাদেশ বর্তমানে বৈশ্বিক সংকটকালীন অবস্থায় এখনো সফল ভাবে টিকে আছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে এর মুল শক্তি হচ্ছে এদেশের SME খাত ( প্রায় ৬০ লক্ষ মাঝারি ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান) পোল্ট্রি এই খাতেরই অংশ।
সরকারের নজিরদারির মাধ্যমে দেশের পোর্টগুলো থেকে আমাদানিকৃত পোল্ট্রি পন্য (পোল্ট্রি খাদ্য উপাদান, মেডিসিন ভ্যাক্সিন ইত্যাদি) দ্রুত ছাড় করতে শুল্ক ও অশুল্ক বাঁধা গুলো দূর করতে হবে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তেল চিনিসহ অন্যান্ন ভোগ্যপন্যের মত পোল্ট্রি খাদ্যের উপাদান আমদানিতে বানিজ্যিক ব্যাংকগুলো বর্তমান ডলার সংকটে এল সি খোলার ক্ষেত্রে মার্জিন (পুর্বের মত নূন্যতম)নূন্যতম পর্যায়ে করলে, কাঁচামাল (ভূট্টা সয়াবিন মিল/খৈল ফিড এডিটিভস, ভেটেরিনারি মেডিসিন, ভিটামিনস ইত্যাদি) আমদানি বাড়বে, যাতে পোল্ট্রি খাদ্যের দাম কমার সম্ভাবনা থাকবে।
প্রস্তাবনা -৭
দায়িত্বশীল মিডিয়াগুলোকে ডিম মুরগির উৎপাদন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রকৃত ধারনা নিয়ে পজেটিভ সংবাদ প্রচার করার জন্য উৎসাহিত করা যায় কি ভাবে, তার কোন ব্যবস্থা থাকলে নেওয়া যেতে পারে, ভুল তথ্যে সংবাদ প্রচার হলে ভোক্তার মধ্যে পেনিক সৃষ্টি করে যা বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের অগ্রগতিতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।পোল্ট্রি ডিম ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরন শিল্প প্রতিষ্ঠায় ক্যাপিটাল মেশিনারি স্থাপনে ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব করা যায়, যা ভবিষ্যতে রপ্তানি পথ উম্মুক্ত (পন্যের বহুমুখিকরণ) করবে।
যদি দেশের সকল খামারিদের রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় আনা যায় তাহলে প্রকৃত উৎপাদনের ( রিয়েল টাইম) তথ্য পাওয়া যাবে।প্রতি ছয় মাস পর পর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের স্থানীয় অফিস খামারিদের তথ্যের হাল নাগাদ করবে। চাহিদা ও যোগানের একটি ভারসাম্য মুলক সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সহজ হবে।
“পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পে” সারাদেশের খামারিদের একটি রিয়েল টাইম ডাটাবেজ তৈরির প্রকল্প গ্রহন করা যেতে পারে। তাহলে যে কোন সময় প্রকৃত উৎপাদন ও যোগান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া সহজ হবে। (জাতীয় পোল্ট্রি বোর্ড)।
সকল সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল মহল কে গুরুত্ব দিয়ে, উল্ল্যেখিত উদ্যোগ গ্রহনের মাধ্যমে ভোক্তা ও উৎপাদনকারী বান্ধব পোল্ট্রি সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, অন্যথায় পোল্ট্রি উৎপাদন ব্যবস্থায় খুব দ্রুতই ধ্বস নামবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ