নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্রয়, দান, বিনিময় বা অন্য কোনোভাবে বাংলাদেশে কোনো ধরনের স্থাবর সম্পত্তির মালিক হতে পারবে না। আইন লঙ্ঘন করে কোনো বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দেশে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করলে তা বাজেয়াপ্ত করতে পারবে সরকার।
এমন বিধান রেখে ‘বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আইন-২০২৩’ শীর্ষক আইনের খসড়া তৈরি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। খসড়ার ওপর মতামত দেওয়ার জন্য সম্প্রতি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনের খসড়ার বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ থাকলে তা লিখিতভাবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিগ্রহণ-১ শাখায় ডাকযোগে বা ই–মেইলে (acquisition1mol@gmail.com)আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া কোনো বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্রয়, দান, বিনিময় বা অন্য কোনোভাবে বাংলাদেশে অভ্যন্তরে কোনো ধরনের স্থাবর সম্পত্তির মালিক হতে পারবে না। আইন লঙ্ঘন করে কোনো বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দেশের অভ্যন্তরে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করলে তা বাজেয়াপ্ত করতে পারবে সরকার। এমনকি ওই সম্পত্তি দায়মুক্তভাবে সরকারের অনুকূলে চলে যাবে।
আইনের খসড়াতে বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বলতে এমন ধরনের সংগঠন বা কর্তৃপক্ষকে বোঝানো হয়েছে, যা কোনো কর্পোরেশন হতে পারে আবার না–ও হতে পারে। এ ধরনের সংস্থা বাংলাদেশের বাইরে অন্য কোনো দেশে গঠিত বা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। আইনের খসড়ার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এ ধরনের বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো ব্যক্তি, সংগঠন বা কর্তৃপক্ষকে সেবাদান করা অথবা স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা।
সংসদে ‘বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (স্থাবর সম্পত্তি অর্জন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২৩’ প্রণয়ন করা হলে তা ‘বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ) নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ, ১৯৮৩’-এর স্থলাভিষিক্ত হবে।