বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়াই প্রশাসনের ওয়াকিটকি বিক্রি ও ব্যবহার!
- আপডেট: ১১:১০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
- / ১০০
বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) এর অনুমোদন না নিয়েই প্রশাসনিক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত ওয়াকিটকি ডিভাইস এখন সাধারণ মানুষের হাতে চলে যাচ্ছে। অনলাইনে এসব ডিভাইস অবাধে বিক্রি করছে একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র, যারা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক ‘বর্তমান কথা’ পত্রিকার কার্যালয়ে এমনই এক চক্রের সদস্য ওয়াকিটকি ক্রয়ের জন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর তিনি ‘পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিস’ এর মাধ্যমে ওয়াকিটকি পাঠান। ডেলিভারি কর্মী অফিসে পৌঁছালে তাকে বিটিআরসির অনুমোদনপত্র দেখাতে বলা হয়। কিন্তু তিনি কোনো অনুমোদনের কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হন।
ঘটনার এক পর্যায়ে ডেলিভারি কর্মী ভয় পেয়ে ওয়াকিটকি ডিভাইসটি অফিসেই রেখে পালিয়ে যান।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের ব্যবহৃত এই ধরণের ওয়াকিটকি ডিভাইস সাধারণত পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, এবং অন্যান্য সরকারি বাহিনীর অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য নির্ধারিত। অনুমোদন ছাড়া এসব ডিভাইস ব্যক্তিগত বা বেসরকারি ব্যবহারের জন্য রাখা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে অনলাইনভিত্তিক এসব অবৈধ ওয়াকিটকি বিক্রির সিন্ডিকেট শনাক্তে তদন্ত শুরু করেছে।
টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি ব্যবহার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। এতে করে সরকারি সিগন্যাল নেটওয়ার্কে অনধিকার প্রবেশের মাধ্যমে সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
সাধারণ নাগরিকরা বিষয়টি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
—
🛑 বিশেষ অনুরোধ: অনলাইনে ওয়াকিটকি কিংবা সরকারি অনুমোদনসাপেক্ষ যন্ত্রপাতি কিনতে গেলে যথাযথ কাগজপত্র যাচাই করুন। আইন লঙ্ঘন করে এমন ডিভাইস রাখলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।










